উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইরান সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা সাবেক প্রেসিডেন্ট আলী আব্দুল্লাহ সালেহর প্রতি অনুগত সেনা সদস্যদের সঙ্গে একজোট হয়ে সানাসহ দেশের বড় একটি অংশ নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সংঘাতে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে ইয়েমেন। ২৬ মার্চ ২০১৫ থেকে ইয়েমেনে ‘অপারেশন ডিসাইসিভ স্টর্ম’ নামে সামরিক অভিযান পরিচালনা শুরু করে সৌদি আরব ও তার মিত্র দেশগুলো। ইয়েমেনের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আব্দ-রাব্বু মানসুর হাদির কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ বিমান অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে দেশজুড়ে ইরান সমর্থিত শিয়াপন্থী হুথি বিদ্রোহীদের উত্থানের মুখে দেশ ছাড়েন মানসুর হাদি। ক্রমাগত লড়াই আর বিমান হামলার কারণে ইয়েমেনের অনেক বড় বড় এলাকার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছাতে পারছে না মানবিক সহায়তা প্রদানকারী সংস্থাগুলো। চিকিৎসা সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠান ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস এ পরিস্থিতিকে ‘চরম চ্যালেঞ্জিং’ বলে উল্লেখ করে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, ইয়েমেনে সংঘাতের কারণে বেসামরিক প্রাণহানির সংখ্যা ১০ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছেন ম্যাকগোল্ডরিক। হেলথ ফ্যাসিলিটিজের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্তদের যে তালিকা তৈরি করা হয়েছে তার ভিত্তিতে এ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি। একইসঙ্গে এ সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছেন ম্যাকগোল্ডরিক।
মঙ্গলবার সকালে আলাদা একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তিনি জানান, ইয়েমেনের ১ কোটির মতো মানুষের নিরাপত্তা, মর্যাদা এবং মৌলিক অধিকারের সুরক্ষায় তাদের জন্য জরুরি সহায়তা প্রয়োজন।
/এফইউ/