‘ওবামা কেয়ার’ বন্ধে ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করছেন ট্রাম্পনির্বাচনি প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে মার্কিন বিদায়ী প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার স্বাক্ষরিত বহুল আলোচিত স্বাস্থ্যনীতি ‘ওবামা কেয়ার’ বন্ধে পদক্ষেপ নিয়েছেন সদ্য ক্ষমতা গ্রহণ করা ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি ওই আইনটির ওপর বিভিন্ন বিধি-নিষেধ আরোপ করে কংগ্রেসকে ‘দ্রুততম সময়ে তা বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার’ আহ্বান জানিয়েছেন।  

শপথ গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই জারি করা ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশে বলা হয়, ‘আইনটি পুরোপুরি বাতিল না করা পর্যন্ত, এর ওপর আইনি ও আর্থিক নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে।’ এই আইন বাতিল করে অঙ্গরাজ্যগুলোকে আরও নিয়ন্ত্রণ ভোগ করা এবং একটি উদার স্বাস্থ্য বাজার গড়ে তোলার কথা উল্লেখ করা হয়।  

ট্রাম্পের ওই নির্বাহী আদেশে ফেডারেল সংস্থার কর্মকর্তাদের ওই স্বাস্থ্যনীতি থেকে বিরত থাকারা নির্দেশ দেওয়া হয়।

তবে হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব শন স্পাইসার কোন ধরণের আইনি ও আর্থিক বাধা ওই স্বাস্থ্যনীতিকে দেওয়া হবে, সে সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু জানাননি।

স্পাইসার বলেন, ‘হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ রেইন্স প্রিয়েবাস এ বিষয়ক একটি বিবৃতি সংবাদমাধ্যমে পাঠাবেন।’

নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য স্বাস্থ্যসেবা সহজলভ্য করতে ২০১০ সালে পাশ হওয়া ‘অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট’ই ‘ওবামা কেয়ার’ নামে পরিচিতি পায়।

চলতি মাসের ১৩ তারিখ ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের প্রস্তাবটি প্রতিনিধি পরিষদে ২২৭-১৯৮ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়। এর আগের দিন এটি সিনেটে ৫১-৪৮ ভোটের ব্যবধানে পাশ হয়।

উল্লেখ্য, ট্রাম্প নির্বাচনি প্রচারণার সময়েই ঘোষণা দিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট হয়ে ক্ষমতায় আসলে তিনি ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিল করবেন। ট্রাম্প প্রশাসনের প্রথম কাজই হবে ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু করা। ট্রাম্প এই আইনকে ‘বিপর্যয়’ বলে উল্লেখ করেচন।

তবে ‘ওবামা কেয়ার’ বাতিলের পুরো প্রক্রিয়াটি সমাপ্ত করতে অন্তত ১০ বছর লেগে যেতে পারে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা।

ওই স্বাস্থ্যনীতির অধীনে ইনস্যুরেন্স করা লোকজন ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী টম প্রাইস মার্কিন সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজকে নিশ্চিত করেছেন, ‘তারা এজন্য কোনও সমস্যায় পড়বেন না।’

সূত্র: এবিসি নিউজ, বিবিসি। 

/এসএ/