ট্রাম্প-থেরেসা প্রথম বৈঠকেই বাণিজ্য চুক্তির পরিকল্পনা

ডোনাল্ড ট্রাম্প ও থেরেসা মেদায়িত্ব নেওয়ার পর ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে'র সঙ্গের আসন্ন বৈঠকে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নের প্রচেষ্টা নিতে পারেন বলে আভাস দিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ। ব্যাংকিং খাতের প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনতে দুই দেশের মধ্যে চুক্তি হতে পারে বলে ধারণা করছে তারা। এদিকে অন্যান্যা ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমও ট্রাম্প-থেরেসা বৈঠককে 'রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ' বলে মনে করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথমবারের মতো কোনও বিদেশি নেতার সঙ্গে বৈঠক করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুক্রবার ওয়াশিংটন ডিসিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-এর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার শনিবার (২১ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দিয়েছেন। এ বৈঠকে একটি ব্রেক্সিট-পরবর্তী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিকে থেরেসা মে তার আলোচ্যসূচির শীর্ষে রেখেছেন বলে উল্লেখ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। ট্রাম্পের দিক থেকেও এ ব্যাপারে ইতিবাচক সাড়া পাওয়া যাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ট্রেলিগ্রাফ জানিয়েছে, নতুন পাসপোর্ট ব্যবস্থা আওতায় আমেরিকান ও ব্রিটিশ ব্যাংকগুলোর মধ্যকার প্রতিবন্ধকতা কমিয়ে আনতে একটি চুক্তিতে পৌঁছানোর কথা ভাবছে ট্রাম্প প্রশাসন। বাণিজ্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো শনাক্ত করতে এবং ভবিষ্যত বাণিজ্য চুক্তির সুযোগ নিরূপণ করতে একটি যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য কার্যনির্বাহী কমিটিকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে আসার পক্ষে অর্থাৎ ব্রেক্সিটের পক্ষে ব্রিটিশ জনগণ যে রায় দিয়েছিলেন তাতে স্বীকৃতি দিয়েছেন ট্রাম্প। ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে ট্রাম্প জয় পাওয়ার পর থেকেই তার অন্তর্বর্তী দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে থেরেসা মে-কে খানিক বেগ পেতে হয়েছিল। দায়িত্বগ্রহণের পর ট্রাম্প যেন প্রথম থেরেসা মে এর সঙ্গেই বৈঠক করেন সে প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছিল। ডিসেম্বরে থেরেসা মে-ওর জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ নিক টিমোথি এবং ফিওনা হিল যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন এবং ট্রাম্পের অন্তর্বর্তী দলের সঙ্গে দেখা করেন।

এ বৈঠক থেরেসা মে এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমগুলো। নিজস্ব প্রতিবেদককে উদ্ধৃত করে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের সঙ্গে থেরেসা মে এর বৈঠক ‘রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ’।

বিবিসি জানিয়েছে, ব্রেক্সিট ইস্যু ছাড়াও বৈঠকে ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, প্রতিরক্ষা এবং রাশিয়া নিয়েও আলোচনা হতে পারে।  

থেরেসা মে ছাড়াও ট্রাম্প শিগগিরই মেক্সিকান প্রেসিডেন্ট এনরিক পেনা নিয়েটোর সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্পাইসার। ৩১ জানুয়ারি এ বৈঠক হতে পারে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সঙ্গেও ট্রাম্পের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

/এফইউ/বিএ/