পশ্চিমতীরের বসতিতে আরও ২৫০০ ঘর-বাড়ি স্থাপন করবে ইসরায়েল

রামাল্লাহর কাছের বসতিতেও নতুন ১০০টি ঘরবাড়ি স্থাপন করা হবেদখলকৃত পশ্চিমতীরে ইহুদি বসতিগুলোতে নতুন করে আরও ২৫০০ ঘর-বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েল। মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) এ ঘোষণা দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতোনিয়াহু এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী আভিগডর লিয়েবারম্যান দাবি করেছেন, আবাসনের প্রয়োজন বিবেচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ইসরায়েলি সরকারের এ পরিকল্পনা শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে বাধাগ্রস্ত করবে উল্লেখ করে ক্ষোভ জানিয়েছে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণের পর দ্বিতীয়বারের মতো এ ধরনের ঘোষণা দিলো ইসরায়েল।

মঙ্গলবার নতুন করে যে আড়াইহাজার ঘর-বাড়ি নির্মাণের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে তার বেশিরভাগই পশ্চিম তীরের বসতি এলাকায়। একশোটি ঘরবাড়ি রামাল্লাহর কাছের বেইত এল বসতি এলাকায় স্থাপন করা হবে। ট্রাম্পের জামাতা জ্যারেড কুশনারের পরিবার পরিচালিত একটি ফাউন্ডেশন এ বসতি এলাকায় তহবিল যুগিয়েছে বলে বলা হচ্ছে।

নতুন ঘর-বাড়ি স্থাপনের ঘোষণা দেওয়ার পর নেতানিয়াহু আরও বসতি স্থাপনের ইঙ্গিত দেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নির্মাণ করছি এবং নির্মাণ করে যাব।’

এদিকে ইসরায়েল সরকার ঘোষিত এ সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছে প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)। সংগঠনটির নির্বাহী কমিটির সদস্য হানান আশরাউয়ি বলেন, ‘আরও একবার ইসরায়েলি সরকার প্রমাণ করলো যে দ্বৈত রাষ্ট্রের সমাধান এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠার চেয়ে ভূমি চুরি এবং উপনিবেশবাদের ক্ষেত্রে তারা বদ্ধপরিকর।’

উল্লেখ্য, ১৯৯০ এর দশকের শুরু থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে বেশ কয়েক দফায় শান্তি আলোচনা হয়েছে। ফিলিস্তিনিরা চায় পশ্চিম তীরে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে এবং পূর্ব জেরুজালেমকে এর রাজধানী বানাতে। ১৯৬৭ সালের আরব যুদ্ধের পর থেকে ইসরায়েল পূর্ব জেরুজালেম দখল করে রেখেছে। পূর্ব জেরুজালেমকে নিজেদের অবিভাজ্য রাজধানী বলে দাবি করে থাকে ইসরায়েল। অবশ্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় পূর্ব জেরুজালেমকে ইসরায়েলের রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি। ১৯৬৭ সালের পর পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে ১শরও বেশি বসতি স্থাপন করেছে ইসরায়েল। পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে স্থাপিত প্রায় ১৪০টি বসতিতে প্রায় ৫ লাখ ইহুদি বসবাস করে। আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এ বসতি স্থাপনকে অবৈধ বলে বিবেচনা করা হলেও ইসরায়েল তা মানতে চায় না।

/এফইউ/