রাশিয়ার বিমানবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ পুতিনের

ভ্লাদিমির পুতিনরাশিয়ার বিমানবাহিনীকে যুদ্ধের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। একইসঙ্গে মহড়া শুরুর জন্য সামরিক বাহিনীর প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু সংবাদমাধ্যমের কাছে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। রাশিয়াভিত্তিক সংবাদমাধ্যম তাস-এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে ইন্ডিপেনডেন্ট।

সার্গেই শোইগু বলেন, “স্ন্যাপ চেকের (মহড়া) জন্য সামরিক বাহিনীকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এতে বোঝা যাবে তারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছে কি না। একইসঙ্গে যুদ্ধকালীন ব্যবস্থা ঠিক আছে কি না, তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে।”

এই প্রস্তুতি এরইমধ্যে শুরু হয়ে গেছে বলে জানান রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী। সামরিক বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধকালীন প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে পুতিনভক্ত মনে করা হলেও দুনিয়াজুড়ে নানা দেশের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষ করে ইউরোপের অনেক দেশকে নিয়ে রাশিয়ার অস্বস্তি রয়েছে। ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতি ঘটছে।

২০১৭ সালের জানুয়ারিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটো কর্তৃক পোল্যান্ডে মার্কিন ট্যাংক ও সেনা মোতায়েন করা হয়। পোল্যান্ডে মার্কিন ট্যাংক ও কয়েক সেনা উপস্থিতির ঘটনার প্রেক্ষিতে রাশিয়াও মস্কোর কাছে বিমানবিধ্বংসী মিসাইল ও বিমানবাহিনীর সেনা মোতায়েন করে। বড় ধরনের সামরিক মহড়া চালায় দেশটি। এটা ছিল সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় মহড়া।

রুশ মিসাইল

উত্তেজনার মধ্যেই চলতি বছরের গোড়ার দিকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ট্যাংক ও সাঁজোয়া গাড়ি নিয়ে সহস্রাধিক মার্কিন সেনা পোল্যান্ডে পৌঁছায়। ইউরোপে কয়েক দশকের মধ্যে এটাই যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সামরিক উপস্থিতি। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, পোল্যান্ডে মার্কিন সামরিক উপস্থিতি রাশিয়ার স্বার্থ ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

দিমিত্রি পেসকভ বলেন, ‘ইউরোপে আমাদের সীমান্তে তৃতীয় কোনও দেশ তাদের সামরিক উপস্থিতি গড়ে তুলছে। এমনকি এটা কোনও ইউরোপীয় দেশও নয়।’ পোল্যান্ডে যুক্তরাষ্ট্রের এমন সামরিক উপস্থিতিকে ইউরোপের নিরাপত্তাকে অস্থিতিশীল করে তোলার একটি উপাদান হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালেক্সেই মেসকভ।

রুশ মোবাইল মিসাইল

২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে বিচ্ছিন্ন করার পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে পূর্ব ইউরোপে নিজেদের সামরিক শক্তি বাড়াচ্ছে ন্যাটো। এর অংশ হিসেবে বারাক ওবামা’র শেষ সময়ে কয়েকশ মার্কিন সেনা ও ট্যাংক জার্মানিতে পাঠানো হয়। এসব সেনা ও ট্যাংক পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর সীমান্তে মোতায়েনের কথা রয়েছে। সূত্র: দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট, আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/