নতুন ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার খবর নিশ্চিত করলো উ. কোরিয়া

মিসাইল পরীক্ষারবিবার সফলভাবে ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালানোর খবর নিশ্চিত করেছে উত্তর কোরিয়া। এটি মধ্যম থেকে দীর্ঘ পাল্লার মিসাইল ছিল বলে উল্লেখ করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করা হয়। এর আগে, উত্তর কোরিয়া নতুন করে ব্যালাস্টিক মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল।

কেসিএনএ-এর খবরে বলা হয়, পুকগুকসং-২ নামের ওই ক্ষেপণাস্ত্র পারমাণবিক ওয়ারহেড বহনে সক্ষম। উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উন-এটি দেখাশোনা করছিলেন। প্রতিবেশী দেশগুলোর কথা বিবেচনায় রেখে এটিকে উঁচু অ্যাঙ্গেলে উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল বলেও কেসিএনএ’র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।

এর আগে রবিবার দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা দাবি করে কোরিয়া উপদ্বীপের পশ্চিমে উত্তর পিয়ঙ্গান প্রদেশের বাঙ্গিয়ন বিমান ঘাঁটি থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরের পূর্বে ৫০০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয় বলেও দাবি করা হয়।

গত বছর পার্শ্ববর্তী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ং ইয়ং।

এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো হয়েছে বলে তারা শনাক্ত করতে পেরেছে। হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা সম্পর্কে জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, ট্রাম্প ক্ষমতা গ্রহণের পর এটাই উত্তর কোরিয়ার প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা।   

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস ম্যাট্টিস গত সপ্তাহেই দক্ষিণ কোরিয়া সফরে গিয়ে ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলেছিলেন। তিনি আরও বলেন, ‘উত্তর কোরিয়া পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করলে তার সমুচিত জবাব দেওয়া হবে।’

দক্ষিণ কোরিয়া সরকার এ সম্পর্কে আলোচনার জন্য জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি সভা ডেকেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্মকর্তারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘শক্তি প্রদর্শন’ বলে মন্তব্য করেছেন।

উত্তর কোরিয়া পারমাণবিক বোমা বহনে সক্ষম বড় পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালানো কাছাকাছি রয়েছে বলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন দাবি করেন। সেই সঙ্গে কয়েক সপ্তাহ আগে পিয়ং ইয়ং-এর পক্ষ থেকে আরও দাবি করা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরি করেছে দেশটি, যার পরীক্ষা যে কোনও সময় করা হতে পারে।

/এফইউ/