উ. কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: মার্কিন সমালোচনার জবাব দিলো চীন

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষানতুন চালানো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে সফল বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। অপরদিকে, পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে আনতে চাপ সৃষ্টি করা নিয়ে ওয়াশিংটনের সমালোচনার জবাব দিয়ে বেইজিং বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রকে আগে ‘বলিষ্ঠ ভূমিকা’ রাখতে হবে।

রবিবার প্রথমে দক্ষিণ কোরিয়া ও মার্কিন কর্মকর্তারা দাবি করেন, কোরিয়া উপদ্বীপের পশ্চিমে উত্তর পিয়ঙ্গান প্রদেশের বাঙ্গিয়ন বিমান ঘাঁটি থেকে এ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরের পূর্বে ৫০০ কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয় বলেও দাবি করা হয়। পরে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ-এর এক প্রতিবেদনে খবরটি নিশ্চিত করা হয়।

গত বছর পার্শ্ববর্তী দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ক্রমাগত নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও বেশ কয়েকটি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ও পারমাণবিক পরীক্ষা চালায় পিয়ংইয়ং।

এবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর যুক্তরাষ্ট্র সফররত জাপানি প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার নিন্দা জানান। তারা এই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেন।

এ সময় ট্রাম্প উত্তর কোরিয়াকে পারমাণবিক কার্যক্রম থেকে সরিয়ে আনতে চীনকে আরও বেশি চাপ প্রয়োগের দাবি জানান।

ট্রাম্প জাপানের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সকলের অবগতির জন্য বলছি, শতভাগ নিশ্চিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র তার ঘনিষ্ঠ মিত্র জাপানের পাশে থাকবে।’ জাপানের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ট্রাম্প।

তবে নির্বাচনি প্রচারণাকালে ট্রাম্প জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ায় মার্কিন সামরিক বাহিনীর অবস্থান ও তার খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তিনি মার্কিন সেনাদের সেখান থেকে সরিয়ে নেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন।

মার্কিন দাবির প্রতিক্রিয়ায় চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সকল পক্ষকে একজোট হয়ে কাজ করতে হবে।’ বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে এ সম্পর্কিত আলোচনায় অন্যান্য পক্ষকে আরও ‘দায়িত্বপূর্ণ এবং গঠনমূলক’ আচরণ করতে হবে।

চীনের ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টির সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস-এর সম্পাদকীয়তে বলা হয়, মার্কিন ভূমিকা নিশ্চিত না করে চীনকে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক কর্মসূচী স্থগিত বা বাতিল করার জন্য চাপ দেওয়ার কথা বলার কোনও মানে হয় না। সবার আগে যুক্তরাষ্ট্রকে নিজের ভূমিকা সম্পর্কে জানতে হবে।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/