হোয়াইট হাউসের স্বীকারোক্তি

ফ্লিনের মিথ্যাচার সম্পর্কে আগেই জানতেন ট্রাম্প

 

ফ্লিন ট্রাম্পকয়েক সপ্তাহ আগেই সদ্য পদত্যগী মার্কিন জাতীয় উপদেষ্টা মাইকেল ফ্লিনের মিথ্যাচারের কথা আগে থেকেই জানতেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।  মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর খবরে এসব কথা বলা হয়।  তারা জানায়, অন্তত দুই সপ্তাহ আগে এই মিথ্যাচারের প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।

কয়েক সপ্তাহ আগে ফ্লিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ বাড়ছিল ট্রাম্পের উপর। এক পর্যায়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে তাঁর কী কথা হয়েছিল, তা ফাঁস হয়ে যায়। সরে যেতে হল ফ্লিনকে।

সংবাদমাধ্যম নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছেম হোয়াইট হাউসের  শিন স্পাইসার তথ্য ফাঁস করেছেন। স্পাইসারের দাবি, এ ব্যাপারে ট্রাম্প এতো আগে থেকে জানলেও ফ্লিনকে তক্ষণাৎ পদত্যগ করানোর ব্যাপারে আগ্রহী  ছিলেন না তিনি।  

ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেয়ার পরপরই জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট ফ্লিনের রুশ যোগাযোগ নিয়ে হোয়াইট হাউসকে সতর্ক করে দিয়েছিল। বলা হয়েছিল, ফ্লিন রাশিয়ার ব্ল্যাকমেলের শিকার হতে পারেন। ডেমোক্রেট নেতারা তখন ফ্লিনের অপসারণ দাবি করলেও ফ্লিন নিষেধাজ্ঞা নিয়ে রুশ দূতের সঙ্গে আলোচনার কথা অস্বীকার করেন। ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সও পরে ফ্লিনের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন।  

গত মাসেই তৎকালীন অ্যাটর্নি জেনারেল স্যালি ইয়েটস হোয়াইট হাউজকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছিলেন মাইকেল ফ্লিনকে সহজেই ব্ল্যাকমেল করা যায়। ট্রাম্পের অভিবাসন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা ‘আইনসম্মত নয়’ বলে মার্কিন বিচার দফতরকে পরামর্শ দেওয়ার দায়ে এই ইয়েটসকে অবশ্য হোয়াইট হাউজ পরে সরিয়ে দেয়। কিন্তু এ বার সরে যেতে হল ফ্লিনকে।

আপাতত নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলাবেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল জোসেফ কিথ কেলেগ।আপাতত নিরাপত্তা উপদেষ্টার দায়িত্ব সামলাবেন অবসরপ্রাপ্ত লেফটন্যান্ট জেনারেল জোসেফ কিথ কেলেগ।

/বিএ/