অস্কার মঞ্চে ট্রাম্পের প্রতি তীব্র কটাক্ষ




nonameসেই গোল্ডেন গ্লোব আসর থেকে শুরু। এখনও থামছে না সাড়া জাগানো হলিউড অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ  আর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যকার মতাদর্শিক দ্বন্দ্ব। এবারের অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ডের মঞ্চেও দেখা গেল সেই বিতর্কের ধারাবাহিকতা। অভিনেত্রী মেরিল স্ট্রিপ-এর পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন উপস্থাপক জিমি কিমেল।  ট্রাম্পের প্রতি তীব্র কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন তিনি।

প্রতিবন্ধী মার্কিন সাংবাদিক সার্জ কোভালেস্কির শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে গত বছর এক নির্বাচনী জনসভাতেই কুরুচিকর অঙ্গভঙ্গি করেন ট্রাম্প। সরাসরি তার নামোল্লেখ না করেই গোল্ডেন গ্লোব আসরের সন্ধ্যায় মেরিল তাঁর তুমুল সমালোচনা করেন। বলেন, ‘সে সময় এমন এক জন ব্যক্তি ওই প্রতিবন্ধী সাংবাদিককে ব্যঙ্গ করেছিলেন যিনি আমাদের দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসনে বসার দাবি করছেন।’ মেরিলের মতে, ‘অসম্মান আরেক অসম্মানকে ডেকে আনে। হিংসার বদলে আসে হিংসা । আর যখন কোনও ক্ষমতাবান ব্যক্তি অন্যদের হেয় করেন, তখন আমাদের সকলেরই হার হয়।’ গোল্ডেন গ্লোব আসরে ট্রাম্প-এর সমালোচনা করায় টুইটার বার্তায় তাকে হলিউডের ‘অতিমূল্যায়িত’ ও ‘অনুপ্রেরণাহীন’ অভিনেত্রী বলে অবহিত করেছিলেন ট্রাম্প। এবারে ট্রাম্প-এর এ বক্তব্যের উচিত জবাব দিলেন উপস্থাপক জিমি কিমেল!

‘ফ্লোরেন্স ফস্টার জেনকিন্স’-এর জন্য অস্কার মনোনয়ন পাওয়া মেরিল স্ট্রিপকে নিয়ে জিমি কিমেল ট্রাম্পের সঙ্গে ব্যাঙ্গ করেন। বলেন, ‘এবারের আসরে আমাদের মধ্যে আছেন এমন একজন অভিনেত্রী যিনি তার ‘অতিমূল্যায়িত’ ও ‘অনুপ্রেরণাহীন’ কাজের কল্যাণে এবারও জায়গা করে নিয়েছেন অস্কারে!’কিমেল ব্যাঙ্গাত্মক ভঙ্গিমায় আরও বলেন, ‘এই ‘অতিমূল্যায়িত’ ও ‘অনুপ্রেরণাহীন’ অভিনেত্রী ইতোমধ্যেই প্রায় ৫০ টি সিনেমায় অভিনয় করে ফেলেছেন! এবারে ২০তম বার অস্কার আসরে নাম লিখিয়ে তৈরি করলেন নতুন রেকর্ড! এ বছর তিনি কোনো ভালো সিনেমা করেননি তবুও অভ্যাসবশত আমরা তাকে মনোনিত করেছি!’

 শুধু তাই নয়, নিজের বক্তব্যের শেষে কথিত ‘অতিমূল্যায়িত’ স্ট্রিপ-এর উদ্দেশ্যে সবাইকে দাঁড়িয়ে অভ্যর্থনা জানানোর অনুরোধ করেন তিনি। উপস্থিত অতিথিরা তাতে সানন্দে সাড়া দেয়। করতালিতে ফেটে পড়ে লস এঞ্জেলসের ডলবি থিয়েটার।

উল্লেখ্য নিউ ইয়র্কের ন্যাশনাল এলজিবিটি গ্রুপের হিউম্যান রাইটস ক্যাম্পেইন এর একটি অনুষ্ঠানে সম্প্রতি মেরিল স্ট্রিপ বলেছেন, জানুয়ারিতে গোল্ডেন গ্লোবের আসরে বক্তব্য দেয়ার পর থেকে তিনি ট্রাম্পের নিশানায় পরিণত হয়েছেন। মেরিল সে সময় বলেন, 'যারা চরমপন্থী তাদের কর্মকান্ড নিয়ে আমাদের বিস্মিত হওয়া উচিত হবে না। আমরা যা ভেবেছিলাম, তার তুলনায় অনেক বেশি পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি। এমন নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করতে হয়, একসময় সর্বনাশা সময় শুরু হতে পারে। প্রতিহিংসামূলক সময়ও চলে আসতে পারে। ’

সূত্র: গার্ডিয়ান, টেলিগ্রাফ, হাফিংটোন পোস্ট

/বিএ/