মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ট্রাম্প বলেন, আমি যুক্তরাষ্ট্রকে প্রতিনিধিত্ব করি, বিশ্বকে নয়। তাই যুক্তরাষ্ট্র নিয়েই আমাকে ভাবতে হয়। তাই বর্তমানে অভিবাসন নীতি পাল্টে মেধা ভিত্তিক অভিবাসন নীতি শুরু করতে চান ট্রাম্প। ভাষণে তিনি বলেন, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আগমন ঠেকিয়ে দক্ষ অভিবাসী নিলে যুক্তরাষ্ট্রের জীবন যাত্রার মানের উন্নয়ন হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘ আমরা যদি মার্কিন নাগরিকদের ভালোর কথা চিন্তা করি তবে রিপাবলিকান ও ডেমোক্রেটদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এতে করে বিগত কয়েক দশক ধরে চলা সঙ্কটের সমাধান হবে।’ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই অভিবাসীদের নিয়ে বিরুপ ও নেতিবাচক মন্তব্য করা ট্রাম্প এবার অভিবাসীদের প্রতি আরও সহানুভূতিশীল হবেন বলে ইঙ্গিত দেন।
এর আগে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, অভিবাসনের ব্যাপারে কিছুটা শিথিল হবেন তিনি। ট্রাম্পের এমন মনোভাবে ডেমোক্রেটদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। অবাক হয়েছেন রিপাবলিকানদের একাংশও।
ট্রাম্প প্রশাসন থেকে অভিবাসন নীতির ব্যাপারে এখনো বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এর এক প্রতিবেদনে জানা যায়, এক কোটিরও বেশি অভিবাসী দেশটিতে অবৈধভাবে বাস করছে। তারা হয়তো কোনো আইনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বসবাসের অনুমতি পেতে পারেন। তবে যারা শিশু অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করেছেন তাদের ব্যাপারে হয়তো ব্যতিক্রমী কিছু হতে যাচ্ছে।
এদিকে ফ্লোরিডার সিনেটর রিপালিকান নেতা মার্কো রুবিও চার বছর তৈরি করা একটি অভিবাসন নীতি সামনে এনে বলেন, এই ফরম্যাটের ব্যাপারে তিনি আগ্রহী। তিনি বলেন, বেশিরভাগ মানুষ অভিবাসন নীতি পরিবর্তনের পক্ষে। তবে তাড়াহুড়ো করে করতে গেলে এনিয়ে বিতর্কের জন্ম হতে পারে। তাই আমরা অনেক সময় নিয়ে, পরিকল্পনা করে কাজটি করবো।
নাগরিকত্ব দেয়ার চেয়ে তারা আইনী বৈধতা কিংবা অন্যরকম কোনো চু্ক্তিতে আসতে পারেন বলেো মন্তব্য করেন এই রিপাবলিকান নেতা।
/এমএইচ/বিএ/