বাংলাদেশ সীমান্তের অর্ধেক কাঁটাতারে ঘিরে ফেলেছে ভারত

সীমান্তে বিএসএফ সদস্যের পাহারাবাংলাদেশ সীমান্তের প্রায় অর্ধেক কাঁটাতার দিয়ে ঘিরে ফেলেছে প্রতিবেশী দেশ ভারত। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যে মোট সীমান্ত রয়েছে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার। যার মধ্যে শুধু পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ২ হাজার ২১৬ দশমিক ৭ কিলোমিটার, আসামের সঙ্গে ২৬৩ কিলোমিটার, মেঘালয়ের সঙ্গে ৪৪৩ কিলোমিটার, ত্রিপুরার সঙ্গে ৮৫৬ কিলোমিটার এবং মিজোরামের সঙ্গে ৩১৮ কেলোমিটার সীমান্ত। এসব সীমান্তের মধ্যে এরই মধ্যে ভারত প্রায় অর্ধেক সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ করেছে। তবে বাকি সীমান্তে ২০১৯ সালের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে জমি অধিগ্রহণই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং ভারত থেকে গরু ও জাল মুদ্রা চোরাচালান  বন্ধ করতেই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ভারত।

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ’র অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পূর্ব) আর পি সিং দ্য হিন্দুকে জানিয়েছেন, ‘সীমান্তের যে জায়গায় বেড়া নির্মাণ করা হবে তার প্রতি ইঞ্চি জমি আমরা জরিপ করেছি। অধিগ্রহণ করার জন্য জমি চিহ্নিত করে আমরা সরকারের কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়েছি।’

তিনি বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণ একটি আইনি প্রক্রিয়া। তাই কেন্দ্রীয় সরকারের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়া গেলেই বাকি অংশে বেড়া নির্মাণ শুরু হবে।’

ভূমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকার সহযোগিতা করছে কিনা- প্রশ্নের জবাবে আর পি সিং বলেন, ‘ভূমি অধিগ্রহণের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি কমিটি গঠন করেছে। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের একটি বড় অংশ নদীবেষ্টিত। কোথাও কোথাও এসব নদীই দুই দেশের সীমান্ত ধরা হয়। যেমন দক্ষীণ বাংলা সীমান্তে ৭০ কিলোমিটার (দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে মালদা) পর্যন্ত নদীবেষ্টিত সীমান্ত। এসব জায়গায় বেড়া নির্মাণ সম্ভব নয়। তবে এসব এলাকায় আমরা ক্যামেরা ও লেজার প্রযুক্তি দিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা ভাবছি।’

মালদায় জাল রূপি আটকের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘মালদা ও চুরিয়ানটপুরে জাল মুদ্রা সিন্ডিকেট সদস্যরা বাস করেন। দুই হাজার টাকার নোটে কমপক্ষে ১৩ থেকে ১৭টি নিরাপত্তা বৈশিষ্ঠ্য থাকলে তারা সেটি জাল তৈরি করে। গত ফেব্রুয়ারিতে প্রায় তিন লাখ সমমানের জাল নোট ধরা পড়েছে।’
সূত্র: দ্য হিন্দু

/এসএনএইচ/