আবারও আলোচনায় ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশ গ্যাসলাইন

Untitled-1মিয়ানমার-ভারত আন্তঃদেশীয় গ্যাসলাইন স্থাপনের আলোচনা হয়েছিল গত দশকের মাঝামাঝি। বাংলাদেশকেও এই উদ্যোগে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছিল। তবে তখনকার বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ওই প্রস্তাবে রাজি হয়নি। ভারতের বাংলাদেশ দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন একজন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানাচ্ছে, সেই গ্যাসলাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হচ্ছে। এবার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশও গ্যাসলাইন স্থাপনের প্রস্তাবটি পুনর্বিবেচনার ব্যাপারে তৎপর হয়েছে।

সোমবার ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম টেলিগ্রাফ-এর ভারতীয় সংস্করণে প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, প্রস্তাবিত গ্যাসলাইনটি প্রাথমিকভাবে  মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের সিতওয়ে থেকে উত্তর-পূর্ব ভারতের মিজোরাম ও ত্রিপুরা এবং বাংলাদেশের চট্টগ্রামকে সংযুক্ত করবে। পরে পশ্চিমবঙ্গ, আসাম এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যও এর আওতায় আসবে।

মিয়ানমার, আসাম এবং ত্রিপুরা থেকে উৎপাদিত গ্যাস ভারতের বিভিন্ন অঞ্চল ও বাংলাদেশে বিক্রি ও সরবরাহের জন্য এই গ্যাসলাইন ব্যবহার করা হবে। ভারতীয় কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানান, পাইপলাইন স্থাপনের বিষয়ে ইতোমধ্যে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন করেছে জিএআইএল, ওএনজিসি এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন-বিপিসি।

অনির্দিষ্ট সূত্রের বরাত দিয়ে ফিন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেস জানিয়েছে, ‘পাইপলাইন নির্মিত হলে’ মিয়ানমার ও ত্রিপুরা থেকে গ্যাস কিনতে আগ্রহী বাংলাদেশ। পাইপলাইন স্থাপন সম্পর্কে ভারতে বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাই কমিশনার নোমান চৌধুরী তাদের জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রচুর জ্বালানি চাহিদা রয়েছে। আর আমরা জ্বালানি দেশে নিয়ে আসার জন্য এমন প্রস্তাব বিবেচনা করছি।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমার ও চীনের মধ্যে ২০১০ সালে ২৩৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে। এই পাইপলাইনে ৩০ বছরে প্রায় সাড়ে ছয় কিউবিক ফুট গ্যাস সরবরাহ করতে সক্ষম চীন।

আর ভারত-মিয়ানমার-বাংলাদেশের  প্রস্তাবিত গ্যাসলাইনটির দৈর্ঘ্য হবে প্রায় সাত হাজার কিলোমিটার। মিয়ানমারে সমুদ্রের তলায় সম্প্রতি কয়েকটি গ্যাসক্ষেত্রের সন্ধান মিলেছে। এর ফলে দেশটি এখন গ্যাসের নতুন বাজার খুঁজছে। 

/এসএ/বিএ/