সেনা-সংশ্লিষ্ট সংস্থার বিরুদ্ধেই অভিযোগের তীর সেই পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মীর

_95054777_waqass

সরকারি বাহিনী কর্তৃক নির্যাতিত হওয়ার অভিযোগ আনলেন নিখোঁজ হওয়ার কিছুদিন পর আবারও ফিরে আসা পাকিস্তানি মানবাধিকার কর্মী ওয়াকাস গোরাইয়া।  পাকিস্তানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন এই খবর দিয়েছে।

চলতি বছরের প্রথম দিকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। কয়েক সপ্তাহ পর ফিরেও আসেন। তবে নির্যাতিত হওয়ার কথা জানালেও কে তাকে অপহরণ করেছিল, তা সম্পর্কে কিছু বলছিলেন না তিনি। কয়েকদিনের মধ্যেই দেশ ছাড়েন। আশ্রয় নেন নেদারল্যান্ডসে।

নেদারল্যান্ডস থেকে এবার তিনি দাবি করলেন, সরকারি সামরিক বাহিনী সংশ্লিষ্ট কোনো সংস্থাই তাকে অপহরণ করে এবং নির্যাতন করে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অপহরণকারীরা শুধুমাত্র আনন্দ করার জন্যই তাকে নির্যাতন করেন। তিনি বলেন, শারীরিক প্রহার ছাড়াও নানা রকম অত্যাচার করা হয়েছে। তিনি ভেবেছিলেন সেখানেই মারা যেতে হবে তাকে। 

এবিষয়ে জেনেভায় জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের সঙ্গেও কথা বলেন গোরাইয়া। তিনি মনে করেন, তার চালানো একটি ব্যাঙ্গাত্মক ফেসবুক পেজ সরকারের সমালোচনা করায় এই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। তিনি বলেন, আমি কোনো অপরাধ করিনি। করলে আমাকে আদালতে নেওয়া হতো।

তবে বরাবরাই এমন সংশ্লিষ্টতার কথা উড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী। জানুয়ারিতে এক সংবাদ সম্মেলনে সামরিক মুখপাত্র বলেন, ব্লগারদের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে সামরিক বাহিনীর কোনও সংশ্লিষ্টতা নেই। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীও বলেছিলেন, পাকিস্তান এমন কিছু কখনোই সহ্য করবে না। ওয়াকাস গোরাইয়া সহ অন্যান্য মানবাধিকার কর্মীরা যখন নিখোঁজ হতে শুরু করলো তখন অনলাইনে আন্দোলন শুরু হয়।

ওয়াকাস মনে করেন, জাতিসংঘ যদি চায় তো এই বিষয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ প্রয়োগ করতে পারে। তার সঙ্গে যা হয়েছে সেই বিষয়ে জবাবদিহিও দাবি করেন এই কর্মী। স তিনি বলেন, ‘সরকারের উচিত এই বিষয়ে ‍সুষ্ঠু তদন্ত করা। আমাদের কাছে প্রমাণ রয়েছে। সেটা দিয়েই দোষী ব্যক্তি খুঁজে বের করা সম্ভব।’

সূত্র : বিবিসি

/এমএইচ/বিএ/