ইরাকের মসুলে কোনওরকম রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করা হয়নি বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের ইরাক প্রতিনিধি। জাতিসংঘ দূত মোহামেদ আলহাকিম বলেন, সরকারের সঙ্গে কথা বলে তিনি শুক্রবার জাতিসংঘকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, মসুলে আইএসের রাসায়নিক অস্ত্র দিয়ে হামলা করার কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। আল হাকিম বলেন, হক ভিত্তিক একটি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তারা রাসায়নিক অস্ত্র নিয়ে কাজ করে।
তবে চলতি মাসের প্রথমে রেডক্রস দাবি করেছিলো রাসায়নিক হামলায় পাঁচ শিশুসহ সাত জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগ জানায়, আইএস জঙ্গিরা মসুল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাসায়নিক অস্ত্র তৈরি করছে।
১৯ ফেব্রুয়ারি মসুল পুনরুদ্ধারের লড়াই শুরু করে ইরাকি বাহিনী। সেই লড়াইয়ের এক পর্যায়েই রাসায়নিত অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ উঠে।
৪ মার্চ বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছিলো, রাসায়নিক এজেন্ট আক্রান্ত হয়ে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট এবং ত্বকের সমস্যায় ভুগছে ১১ বছরের একটি ছেলে। আহত হয়েছে একমাসের শিশুও। রেডক্রস জানিয়েছে, গত ৪৮ ঘন্টার লড়াইয়ে রাসায়নিক অস্ত্র হামলায় আহত ৫ শিশু এবং দুই নারীকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। তাদের চামড়ায় ফোসকা পড়াসহ চোখ লাল হয়ে হয়ে গেছে, তারা বমি করছে এবং কাশছে।
এরপর ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে ইরাকি বাহিনীর অভিযানে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ তদন্তের আোতায় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন। মানবাধিকার বিষয়ক সমন্বয়ক লিসা গ্রান্দে বলেছিলেন, সত্যিই যদিত মসুলে রাসায়নিক হামলা হয়ে থাকে, তবে তা যুদ্ধাপরাধ বলে বিবেচিত হবে।
তবে এবার রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানালেন জাতিসংঘের ইরাক প্রতিনিধি।
সূত্র: এএফপি
/এমএইচ