গোয়ায় পারিকরের শপথ রুখতে পারেনি কংগ্রেস, বৃহস্পতিবার আস্থা ভোট

মনোহর পারিকরভারতের গোয়ায় বিজেপি সরকারের শপথগ্রহণ স্থগিত রাখার জন্য কংগ্রেসের করা আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) আবেদনটি খারিজ হয়ে যায়। এর মধ্য দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মনোহর পারিকরের শপথ গ্রহণে আর কোনও বাধা রইল না। তবে শপথগ্রহণের পর পারিকরকে বিধানসভায় আস্থা ভোটের মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। আগামী বৃহস্পতিবার পারিকরকে বিধানসভায় আস্থাভোটের মুখোমুখি হতে হবে এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ বিধায়কের সমর্থন প্রমাণ করতে হবে।

ভারতের গোয়ায় বিজেপিকে সরকার গড়তে ডাকার বিরোধিতা করে শীর্ষ আদালতে গিয়েছিল কংগ্রেস। ৪০ আসনের গোয়ায় সরকার গড়তে দরকার ২১ জন বিধায়কের সমর্থন। নিজেদের দলের ১৩ জনের পাশাপাশি অন্য ৯ বিধায়কের সমর্থন জোগাড় করে আগেই রাজ্যপাল মৃদুলা সিনহার কাছে জমা দিয়েছিল বিজেপি। এর পরে সরকার গড়ার ডাকও পেয়েছিল তারা। ঠিক হয়, আজ মঙ্গলবার বিকেলে গোয়ার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন পারিকর। কিন্তু, বিজেপিকে সরকার গড়তে রাজ্যপালের ডাকের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে যায় কংগ্রেস।১৭ জন বিধায়ক থাকা সত্ত্বেও তাদের কেন ডাকা হল না, সেই প্রশ্নও তোলা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলা হয়। কংগ্রেসের অভিযোগ, রাজ্যে একক বৃহত্তম দলকে সরকার গড়তে ডাকাই সংসদীয় রীতি। রাজ্যপাল মৃদুলা সিন্‌হা সেই রীতি ভেঙেছেন।

বিষয়টি নিয়ে দ্রুত শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি জে এস খেহরের কাছে আজ আবেদন জানান গোয়ার কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতা চন্দ্রকান্ত কাভলেকর। হোলির জন্য আদালত বন্ধ ছিল। কিন্তু, শপথের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হওয়ায় এ নিয়ে জরুরি শুনানির জন্য বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করা হয়। এ দিন সেই শুনানি শেষে সুপ্রিম কোর্ট চন্দ্রকান্ত কাভলেকরের আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, যদি কংগ্রেসের হাতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক বিধায়ক ছিল তাহলে তারা সরকার গড়তে আগে রাজ্যপালের কাছে যাননি কেন। শীর্ষ আদালত বলেছে, রাজ্যপাল তারপরও সুযোগ না দিলে কংগ্রেসের সদস্যদের ধরনায় বসারও সুযোগ ছিল।  পাশাপাশি ওই বেঞ্চ প্রশ্ন তোলে, কেন রাজ্যপালের কাছে না গিয়ে আদালতে এসেছে কংগ্রেস?

তবে বসে নেই বিজেপিও। আরও বেড়েছে তাদের সমর্থক বিধায়কসংখ্যা। সমর্থন করেছেন আরও এক নির্দল বিধায়ক প্রসাদ গাঁওকর। সব মিলিয়ে তাদের পক্ষের বিধায়ক সংখ্যা ম্যাজিক ফিগার ২১ পেরিয়ে ২২-এ পৌঁছে গেছে। বিজেপির নিজেদের আছে ১৩জন বিধায়ক, দুই আঞ্চলিক দল জিএফপি ও এমজিপির মোট ৬ আর নির্দল ৩। একমাত্র এনসিপি বিধায়ক চার্চিল আলেমাওয়ের সমর্থন জোটানোরও চেষ্টা করছে তারা।

উল্টোদিকে কংগ্রেসের ১৭ বিধায়কের একটা অংশ দলের ওপর ক্ষুব্ধ। যেভাবে একক বৃহত্তম দল হওয়া সত্ত্বেও সরকার গড়ার সুযোগ হাতছাড়া হতে চলেছে, তাতে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ জানিয়েছেন তারা।

/এফইউ/