অবশেষে করের আংশিক হিসাব দিলেন ট্রাম্প

ডোনাল্ড ট্রাম্পপ্রথমবারের মতো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কর সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউস। ২০০৫ সালে তার আয় ছিল ১৫ কোটি ডলার। আর তিনি কর দিয়েছেন ৩ কোটি ৮০ লাখ ডলার। মঙ্গলবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম এমএসএনবিসি-র এক প্রতিবেদনের জবাবে একথা জানায় হোয়াইট হাউস।

এমএসএনবিসি-র সাংবাদিক র‍্যাচেল ম্যাডো জানান, তারা ট্যাক্স সংক্রান্ত নথিপত্র পেয়েছেন। সংবাদমাধ্যমটির ওয়েবসাইটেও এই নথিপত্র দেওয়া আছে। যেখানে বলা হয়েছে ২০০৫ সালে ২৫ শতাংশ কর দিয়েছেন ট্রাম্প।

ট্রাম্প বরাবরই তার কর সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করা থেকে বিরত ছিলেন। নির্বাচনি প্রচারণার সময়ও তার বিরুদ্ধে কর গোপন করার অভিযোগ ছিল। গত অক্টোবরে নিউ ইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ১৯৯৫ সালে ৯১ কোটি ৬০ লাখ ডলার ক্ষতির কথা বলেছিলেন ট্রাম্প। এতে করে প্রায় ১৮ বছর কর মওকুফ পেয়েছিলেন ট্রাম্প।

তবে মঙ্গলবার এমএসএনবিসির ওয়েবসাইটে দেখা যায়, ২০০৫ সালে তিনি কর দিয়েছেন। তবে অন্যান্য বছরগুলোতে কর দিয়েছিলেন কিনা তা জানা যায়নি। গত বছর অবশ্য ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছিল, ৭০ দশকের শেষ দিকে অন্তত দুই বছর কোনও কর দেননি ট্রাম্প।

তবে হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে জানা যায়, ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের প্রধান হিসেবে ট্রাম্পকে আরও বেশি কর দিতে হয়।

আইনি বিধিনিষেধ না থাকলেও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থীরা নিজেদের কর বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করে থাকেন। তবে ট্রাম্প এমনটি না করার কারণ হিসেবে বলেন, তার কর ইন্টারনাল রেভিনিউ সার্ভিসের অডিটে আছে। তবে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, অডিটে থাকলে কর প্রকাশে কোনও আইনগত বাধা নেই।

সেপ্টেম্বরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিতর্কের সময় হিলারি ক্লিনটনও অভিযোগ তুলেছিলেন যে, ট্রাম্প কর দেন না। জবাবে ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘কারণ আমি বুদ্ধিমান।’

দায়িত্বগ্রহণের পর থেকেই ট্রাম্প সংবাদমাধ্যমের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তার ব্যাপারে সবসময়ই ভুল খবর প্রকাশ করা হয়।

হোয়াইট হাউসের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ট্রাম্প মার্কিনিদের ভালোর জন্য কর দিতে থাকবেন। আর অসৎ সংবাদমাধ্যম তাদের স্বার্থ উদ্ধারে সংবাদ প্রকাশ করতে থাকবে।’

সূত্র: রয়টার্স।

/এমএইচ/এসএ/বিএ/