এবার ম্যারিল্যান্ড আদালতের রুলের বিরুদ্ধে মার্কিন সরকারের আপিল

ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে প্রতিবাদমার্কিন প্রেসিডেন্ট  ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা মুসলিম নিষেধাজ্ঞার ওপর ম্যারিল্যান্ড আদালতের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার।

ইতোমধ্যে মার্কিন বিচার বিভাগ এই বিষয়ে আইনী পদক্ষেপ নিয়েছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র শন স্পাইসার জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্টের নির্বাহী আদেশ জারি করতে সবকিছু করবেন তারা।

৬ মার্চ নতুন করে মুসলিমপ্রধান ৬ দেশের উপর যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করে ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ম্যারিল্যান্ড এবং হাওয়াই অঙ্গরাজ্যের আদালত এ নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই নিষেধাজ্ঞা বৈষম্যমূলক জানিয়ে ট্রাম্পের আদেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয় ফেডারেল বিচারক।

এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে  সিভিল লিবার্টি গ্রুপগুলো।  তারা জানায়, ইরান, লিবিয়া, সিরিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনে নিষেধাজ্ঞা যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান পরিপন্থী। যেখানে ধর্মীয় স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে।

তবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করছেন, যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসী প্রবেশ ঠেকাতে এই পদক্ষেপ নিয়েছেন তিনি।

জানুয়ারিতে ট্রাম্প আরোপিত মূল নিষেধাজ্ঞাটি আইনি চ্যালেঞ্জে হেরে যাওয়ার পর সম্প্রতি দ্বিতীয় দফায় নতুন এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়। আগের নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করা হলেও আদতে তা আগের নিষেধাজ্ঞার মতো করেই মুসলিমদেরকে টার্গেট করা হয়েছে।

ক্ষমতা গ্রহণের পরই ২৭ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে এক নির্বাহী আদেশে সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্র সফরে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। দেশগুলো হলো- ইরাক, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন।যুক্তরাষ্ট্রে সন্ত্রাসবাদীদের প্রবেশ বন্ধের যুক্তি দেখিয়ে ওই আদেশ দেন ট্রাম্প। কিন্তু সমালোচকরা একে বৈষম্য বলে আখ্যায়িত করেন। নোবেল বিজয়ী শিক্ষা অধিকারকর্মী থেকে শুরু করে বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধান, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠাতা,বুদ্ধিজীবী ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ট্রাম্পের এ নিষেধাজ্ঞার সমালোচনা করেন।

পরে সিয়াটলের একজন বিচারক ট্রাম্পের ওই নিষেধাজ্ঞা স্থগিতের আদেশ দেন। ট্রাম্প প্রশাসন ওই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করলেও সান-ফ্রান্সিসকোভিত্তিক তিন বিচারকের প্যানেল তা খারিজ করেন।

এরপর সাত মুসলিম-প্রধান দেশের নাগরিকদের ওপর স্থগিত হয়ে যাওয়া নিষেধাজ্ঞা সংশোধন করে ডোনাল্ড ট্রাম্প নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। নতুন জারি করা নিষেধাজ্ঞায় আগের তালিকায় থাকা ইরাককে বাদ দেওয়া হয়। তবে অপর ছয়টি দেশের নাগরিকদের জন্য নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হয়।

/এমএইচ/এফইউ/