ফরাসি বিমানবন্দরের হামলা হয় ‘আল্লাহর নামে’, পরিকল্পনা ছিল বড় নাশকতার

download (1)

প্যারিস বিমানবন্দরে ফরাসি সেনাদের গুলিতে নিহত ব্যক্তি ‘আল্লাহর জন্য’ মরতে চেয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন দেশটির প্রসিকিউটর। ওই হামলাকারী  নিরাপত্তা রক্ষীর অস্ত্র নিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন বলে দাবি করেছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স তাকে উদ্ধৃত করে বলছে, ওই হামলাকারীর বড় ধরনের হামলা চালানোর পরিকল্পনা ছিল।

রয়টার্সের খবরে বলা হয়, প্যারিসের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমানবন্দর অরলিতে সেনাসদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টা হয়। রয়টার্সকে পরে এ ঘটনার তদন্ত শুরুর কথা জানিয়েছে ফ্রান্সের সন্ত্রাসবিরোধী ইউনিট। বিমানবন্দরের মুখ্য কর্মকর্তা অগাস্টিন দি রোমানেট রয়টার্সকে জানিয়েছেন, দক্ষিণ টার্মিনাল খুলতে খানিক সময় নেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও বাদবাকি টার্মিনালগুলো অচিরেই খুলে দেওয়া হবে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ঘটনার পর বিমানবন্দরটির কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বোমা নিষ্ক্রিয়করণ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে নিরাপত্তা অভিযান চালানোর কথাও জানায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। জনসাধারণকে ওই এলাকা থেকে দূরে থাকতে বলেছে পুলিশ। কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

হামলাকারীর নাম জিয়েদ বিন বেলগাশেম। তিনি শনিবার সকালে পেট্রলের ক্যানসহ তার ব্যাগটি ছুঁড়ে মারেন এবং টহলরত বিমানবাহিনীর এক নারী সদস্যের অস্ত্র ছিনিয়ে নিতে চান। কুশলী ফ্রাঁসোয়া মলিন বলেন, ‘‘ওই নারীকে ঢাল বানিয়ে চিৎকার করতে থাকে, ‘অস্ত্র ফেলে দাও, হাত উপরে ‍তুলো। আমি আল্লাহর জন্য মরতে এসেছি।’’

সেসময় অন্য সেনারা তাকে গুলি করে হত্যা করে। প্রসিকিউটর দাবি করেন, ওই ব্যক্তির অনেক বড় হামলা করার পরিকল্পনা করছিল। তার শরীর থেকে একটি কোরআন ও ৭৫০ ইউরো উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক গ্রাম কোকেইন ও একটি চাপাতিও ছিল তার কাছে। মলিন বলেন, বেলগাশেমের বিষয়টি জঙ্গিবাদের সম্ভাবনা তৈরি করছে। ৩৯ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি পুলিশের নজরদারিতে ছিলেন। কয়েক বছর আগে মাদকপাচারের অভিযোগে জেল খেটেছেন তিনি। তখন থাকে মৌলবাদী মুসলিম মনে হয়েছিল কর্তৃপক্ষের।

শনিবার এই ঘটনার কিছুক্ষণ আগেই এক পুলিশ সদস্যকে গুলি করে বেলগ্যাশেম। তারপর তারা বাবা-মাকে ফোন দিয়ে বলেন যে, তিনি একটি বোকামি করেছেন। এরপর একটি বারে গিয়ে ফাঁকা গুলি ছুড়তে থাকেন। একটু পর একটি গাড়ি চুরি করে তিনি এয়ারপোর্ট পৌঁছান। সেখানেই গুলি করে হত্যা করা হয় তাকে।

/এমএইচ/বিএ/