বিবিসি’র ডিরেক্টর জেনারেল লর্ড হল-এর প্রতি লেখা এক চিঠিতে ব্রেক্সিট বিরোধী অবস্থান থেকে সরে এসে নিজেদের শোধরানোর আহ্বান জানিয়েছেন এসব এমপি’রা। ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারী এমপি’দের অধিকাংশই যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি।
চিঠিতে বলা হয়েছে, এমন দৃশ্য আমাদের ব্যথিত করে যেখানে দেখানো হয়; ২০১৬ সালের জুন থেকে এ পর্যন্ত কিভাবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের বহু ভালো খবরকে বিবিসি’র কাভারেজে ‘হতাশাব্যঞ্জক ও তীর্যক’ আকারে তুলে ধরা হয়েছে। দৃশ্যত, এটা প্রাক গণভোট হতাশাকে অতিক্রম করতে পারেনি। বিবিসি নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে পারেনি।
ব্রিটিশ এমপিদের চিঠিতে বলা হয়, বিবিসি’র পক্ষপাতমূলক সংবাদ পরিবেশন জাতীয় পর্যায়ের বিতর্কে জোরালো প্রভাব ফেলতে পারে। আমাদের আশঙ্কা, দেশকে ভুলভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে হয় ব্রেক্সিটের পক্ষের ভোটকে বিদেশিদের সম্পর্কে অহেতুক ভীতি বা অনুতাপমূলক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। এই দেশের জন্য একটি নতুন, বৈশ্বিক ভূমিকা খুঁজে বের করতে আমাদের যে প্রচেষ্টা; বিবিসি’র কর্মকাণ্ড তার ভিতকে দুর্বল করে দেবে।
বিবিসি’র ডিরেক্টর জেনারেল লর্ড হল-এর প্রতি লেখা ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন ৭২ জন ব্রিটিশ এমপি। এরমধ্যে ৬০ জনই ক্ষমতাসীন দল কনজারভেটিভ পার্টির এমপি। বাকিদের মধ্যে তিনজন বিরোধী দল লেবার পার্টির, ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নিস্ট পার্টি (ডিইউপি)-এর আটজন এবং ইউকিপ-এর একমাত্র এমপি ডগলাস কার্সওয়েল।
চিঠিতে স্বাক্ষর করা কনজারভেটিভ পার্টির জ্যেষ্ঠ নেতাদের মধ্যে রয়েছেন কাজ ও পেনশন বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী আয়ান ডানকান স্মিথ, সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ওয়েন প্যাটারসন, নর্দার্ন আয়ারল্যান্ডের সাবেক মন্ত্রী থেরেসা ভিলিয়ার্স।
বিবিসি’কে পাঠানো ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী এবং কনজারভেটিভ পার্টির এমপি জুলিয়ান নাইট। তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে ব্রেক্সিট নিয়ে গণভোট সংক্রান্ত বিবিসি’র কাভারেজ নিয়ে তার কোনও অভিযোগ নেই। তবে তার বিশ্বাস, এটা ব্রেক্সিট নিয়ে সামগ্রিকভাবে একটা হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি করবে।
জুলিয়ান নাইট বলেন, রাজনীতিবিদ ও মানুষ যদি এটাকে নিরপেক্ষ হিসেবে বিবেচনা না করেন; তাহলে ভবিষ্যতে বিবিসি’ও লোকজনের কাছে সন্দেহমুক্ত থাকবে না।
বিবিসি’র একজন মুখপাত্র বলেন, ব্রেক্সিট ইস্যুতে সংঘটিত গণভোটের পর দায়িত্বশীলতার সঙ্গে এবং নিরপেক্ষভাবে রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক ঘটনাবলীর সংবাদ প্রচার করেছে বিবিসি। এই দেশের একটা বৃহৎ রফতানি মাধ্যম হচ্ছে বিবিসি। যুক্তরাজ্যের সৃজনশীল খাতে এর উল্লেখযোগ্য অবদান রয়েছে।
/এমপি/