হামলাকারী ব্যক্তি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত: থেরেসা মে

থেরেসা মেলন্ডনের পার্লামেন্টের হামলাকারী ব্যক্তি ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত এবং কয়েক বছর আগে পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছিল বলে দাবি করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। বৃহস্পতিবার হাউস অব কমন্সে দেওয়া বক্তব্যে এ দাবি করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালনের পর আবারও ব্রিটিশ পার্লামেন্টের কার্যক্রম শুরু হয়। এদিন পার্লামেন্টে দেওয়া ভাষণে থেরেসা মে বলেন, হামলাকারী ব্যক্তি একজন ব্রিটিশ নাগরিক। পুলিশ ও গোয়েন্দা বিভাগ তাকে চিনতো এবং কয়েক বছর আগে সহিংস উগ্রপন্থার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে তদন্তও করা হয়েছিল।
এমপিদের উদ্দেশে মে বলেন, ‘গতকাল সন্ত্রাসবাদী কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রকে নীরব করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু একটি বার্তা দিতে আজ আমরা স্বাভাবিকভাবে একত্রিত হয়েছি। যেভাবে আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্ম একত্রিত হয়েছিলেন এবং যা পরবর্তী প্রজন্ম বজায় রাখবে। বার্তাটি হলো: আমরা ভীত নই এবং সন্ত্রাসবাদ দিয়ে আমাদেরকে সংকল্প থেকে সরিয়ে আনা যাবে না।’

উল্লেখ্য, টেমস নদীর ওপর ওয়েস্টমিনস্টার ব্রিজ। এর দক্ষিণ প্রান্ত গিয়ে যুক্ত হয়েছে পার্লামেন্ট এলাকায়। অপর প্রান্তে নানা দর্শনীয় স্থাপনা। বুধবার সেই ওয়েস্টমিনস্টার সেতুর ওপর দিয়ে পার্লামেন্টের দিকে আসার পথে সজোরে গাড়ি চালিয়ে তা পথচারীদের ওপর উঠিয়ে দেন হামলাকারী। সেসময় বেশ কয়েকজন হতাহত হন। পরে গাড়িটি পার্লামেন্টের নিরাপত্তাবেষ্টনীতে গিয়ে আঘাত হানে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, হামলাকারী ৮ ইঞ্চি ছুরি নিয়ে পার্লামেন্ট ভবনে প্রবেশের চেষ্টা করেন। নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দিলে এক পুলিশ সদস্যের ওপর ছুরিকাঘাত করেন তিনি। তখন পুলিশ হামলাকারীকে গুলি করে তাকে রুখে দেয়। গুলিতে নিহত হয় হামলাকারী। পরে বুধবার রাতে বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। বৃহস্পতিবার ‌সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযানের ব্যাপারে কথা বলেন মেট্রোপলিটন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপ-কমিশনার মার্ক রাউলি। তিনি জানান,লন্ডন, বার্মিংহামসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন এলাকার বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরে এক টুইট বার্তায় রাউলি জানান, গ্রেফতারকৃতের সংখ্যা আট। এখন পর্যন্ত ছয়টি বাড়িতে অভিযান চালানোর খবর নিশ্চিত করেছেন তিনি। তবে আগেরদিন পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের যে সংখ্যা জানানো হয়েছিল তা সংশোধন করে নতুন সংখ্যা জানিয়েছেন রাউলি। তিনি জানান, হামলাকারীসহ নিহতের সংখ্যা ৫ জন নয় বরং ৪ জন। পরে ওই আহত পুলিশ কর্মকর্তাও নিহত হন।

/এফইউ/