জাপানের প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদী স্কুলে আর্থিক অনুদানের অভিযোগ

শিনজো ও আকি আবেজাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে ও তার স্ত্রী আকি আবের বিরুদ্ধে উগ্র জাতীয়তাবাদী একটি স্কুলে আর্থিক সাহায্যের অভিযোগ উঠেছে। দেশটির শিক্ষাবিষয়ক একটি ফাউন্ডেশনের প্রধান জাপানের পার্লামেন্টের কাছে দাবি করেছেন, আবে দম্পতি গোপনে ওই উগ্র জাতীয়তাবাদী স্কুলে আর্থিক অনুদান দিয়েছেন।

গত সপ্তাহে আর্থিক অনুদানের দাবি সামনে আসার পর পার্লামেন্টের পক্ষ থেকে ওই স্কুলের পরিচালককে ল্ডেকে পাঠানো হয়। এরই ফলশ্রুতিতে বৃহস্পতিবার মরিতোমো গাকুয়েন গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ইয়াসুনোরি কাগোইকে জাপানের পার্লামেন্টে দাবি করেন, ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে উগ্র জাতীয়তাবাদী ওই কিন্ডারগার্টেন পরিদর্শনের সময় শিনজো আবের পক্ষ থেকে ফার্স্ট লেডি আকি আবে তার হাতে ১০ লাখ ইয়েনের (৯ হাজার ডলার) একটি খাম দিয়েছিলেন। তবে জাপানের সরকার এই দাবি অস্বীকার করেছে।

অভিযোগ রয়েছে, মরিতোমো গাকুয়েন স্কুলের নতুন ভবন নির্মাণের জন্য ওসাকায় একটি জমি সাত ভাগের এক ভাগ মূল্যে পেয়েছিল তারা। এ ক্ষেত্রেও শিনজো আবের বিরুদ্ধে স্কুলটিকে সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে। একটি উগ্র জাতীয়তাবাদী দল ওই স্কুল পরিচালনার সঙ্গে জড়িত রয়েছে।   

তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও সংশ্লিষ্টতা সম্পর্কে শিনজো আবে অস্বীকার করেছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনায় তার ব্যক্তিগত সংশ্লিষ্টতা প্রমাণ করতে পারলে পদত্যাগেরও হুমকি দেন আবে। ফার্স্ট লেডিকে ওই স্কুলের সম্মাননাসূচক প্রিন্সিপাল করা হয়েছিল। বিতর্ক শুরুর পর আকি আবে তা ত্যাগ করেন।

কাগোইকের দাবি, আকি আবে ২০১৫ সালের সেপ্টেম্বরে শিনজো আবের পক্ষ থেকে ওই অর্থ প্রদান করেন।

এদিকে, জাপানের মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব ইয়োশিহিদে সুগা এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রধানমন্ত্রী নিজে এ অনুদান প্রদান করেননি। এমনকি তিনি তার স্ত্রী, তার দফতর বা কোনও তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমেও এ অনুদান দেননি। সুগা আরও জানান, তার ধারণা, শিনজো আবের স্ত্রী ব্যক্তিগত ক্ষমতা থেকেও এ অনুদান প্রদান করেননি।

সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।

/এসএ/