বাংলাদেশ সংলগ্ন সীমান্ত সিল করবে ভারত!

বাংলাদেশ পাকিস্তান সীমান্ত সিল করবে ভারতবাংলাদেশ ও পাকিস্তান সংলগ্ন আন্তর্জাতিক সীমানা শক্তভাবে সিল করার পরিকল্পনার কথা আগেই জানিয়েছিল ভারত। এবার সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারে এক নতুন রোডম্যাপ তৈরির কথা জানালেন মোদি সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। ইন্ডিয়া টুডে রাজনাথের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে জানায়, রোডম্যাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গের সীমান্ত বন্ধের প্রসঙ্গের উল্লেখ রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, রবিবার (২৬ মার্চ) গোয়ালিয়রের কাছে তেকানপুরের বিএসএফ একাডেমিতে সহকারী কমান্ডেন্টদের পাসিং আউট প্যারেডে বক্তব্য দেওয়ার সময় রাজনাথ এসব কথা জানান।

ভারতের সাথে বাংলাদেশের মোট সীমানা ৪০৯৬ কিলোমিটার। এর মধ্যে আসামের সাথে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমানা রয়েছে প্রায় ২৮৪ কিলোমিটার। যার ২২৩.৭ কিলোমিটারে এইরমধ্যে কাটাতারের বেড়া দেওয়া আছে। বাকি রয়েছে ৬০.৭ কিলোমিটার সীমান্ত। গত বছরের জুনে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বলা হয়, সেই সম্পূর্ণ অংশটি ২০১৭ সালের জুন মাসের মধ্যে পুরোপুরি সিল করে দেওয়া হবে।  

ওদিকে ঠার মরুভূমিতে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের ১ হাজার কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। কর্মকর্তারা মনে করেন, এতো বড় সীমান্ত নজরদারির আওতায় আনা মুশকিল। এ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ, গোয়েন্দাগিরি ও চোরাকারবারির মতো ঘটনা সরকারের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গত বছর অক্টোবরে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গের বৈঠকে ২০১৮ সালের ডিসেম্বরের  মধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গের সীমান্ত বন্ধের পরিকল্পনা নেন রাজনাথ।

এবার রবিবারের বিএসএফ প্যারেডে রাজনাথ সিং বললেন, ‘সীমান্তের নিরাপত্তা জোরালো করতে কেন্দ্র সরকার একটি নতুন রোডম্যাপ তৈরি করেছে এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সঙ্গে আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকা বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে।’

বিএসএফের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যকে উদ্ধৃত করা হয়। বলা হয়, প্যারেডে রাজনাথ জানান, সম্প্রতি ৭৩টি সীমান্ত চৌকি স্থাপন করেছে বিএসএফ। শিগগিরই আরও তিনটি চৌকি স্থাপন করার কথা রয়েছে। রাজনাথ আরও জানান, বিএসএফ আন্তর্জাতিক সীমান্তে তাদের ভূমিকা ও তৎপরতাজনিত নিয়মকানুনে পরিবর্তন এনেছে। এখন এ বাহিনী ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলোতেও একটি ‘পরিচিত বাহিনী’ বলে দাবি করেন তিনি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সহকারী কমান্ডেন্টদের উদ্দেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় বিএসএফকে ‘প্রতিরক্ষার প্রথম দেয়াল’ হিসেবে উল্লেখ করেন রাজনাথ। তিনি বলেন, ‘পেশাগত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সাহসিকতা প্রদর্শন, কমান্ডের অধীনে থাকা সেনাদের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন এবং সর্বোচ্চ আদেশের অখণ্ডতা বজায় রাখা’।

/এফইউ/বিএ/