উল্লেখ্য, আইএসের কথিত রাজধানী রাক্কা পুনরুদ্ধারের অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে তাবকা বাঁধ ও সংলগ্ন তাবকা শহর দখলের অভিযান শুরু করে এসডিএফ। ইউফ্রেটিস নদীর ওপর নির্মিত সিরিয়ার বৃহত্তম এই বাঁধ কৌশলগতভাবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আর তার অংশ হিসেবেই তাবকা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ আসে তাদের হাতে।
এর আগে তাবকা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংগঠন সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস। আইএস জঙ্গিরাও হুমকি দিয়েছিল, ‘যে কোনও সময়ে বাঁধ ভেঙে পড়তে পারে।’
এরপর সোমবার কিছু সময়ের জন্য অভিযান বন্ধ রাখে এসডিএফ। মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের প্রকৌশলীরা চার ঘণ্টা ধরে বাঁধটি পরীক্ষা করেন। পরে এসডিএফ জানায়, তাবকা বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। তাই তারা অভিযান চালিয়ে যাবেন।
এসডিএফ-এর দাবি প্রত্যাখ্যান করে সিরিয়ান অবজারভেটরি বলছে, বাঁধের আইএস নিয়ন্ত্রিত অংশে প্রকৌশলীরা পৌঁছাতে পারেনি। আর সেখানে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকতে পারে।
সিরিয়ার সরকারি কর্তৃপক্ষের অনুরোধে বিদ্রোহীরা অভিযান সাময়িক বন্ধ রাখে। সিরীয় কর্তৃপক্ষের দাবি, মার্কিন বিমান হামলায় বাঁধের পানি নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থায় বিঘ্ন ঘটেছে। এর ফলে বাঁধটি অকেজো হয়ে পড়েছে।
তবে মার্কিন নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক জোটের মুখপাত্র কর্নেল জোসেফ স্ক্রোচ্চা বলেন, ‘যদি আইএস বাঁধটিকে ধ্বংস করে না ফেলে তাহলে এটি ভেঙে যাওয়ার মতো বিপজ্জনক অবস্থায় নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাঁধের উত্তর দিকের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে এসডিএফের হাতে। এদিকে সেচের পানি সরবরাহের একটি খাল রয়েছে। প্রয়োজনে এদিক দিয়ে পানি বের করে নেওয়া হতে পারে।’
এদিকে, মানবাধিকার সংস্থাগুলো জোট বাহিনীর এই চলমান অভিযানে ওই এলাকায় আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। সিরিয়ান অবজেরভেটরি জানিয়েছে, জোট বাহিনীর বিমান হামলায় গত সপ্তাহে অন্তত ৮৯ বেসামরিক লোক প্রাণ হারিয়েছেন।
২০১৪ সালে সিরিয়ার সেনাবাহিনীকে হটিয়ে তাবকা বিমানঘাঁটি দখল করে আইএস। দখলের সময় বন্দি সিরীয় সেনাদের নির্বিচারে হত্যা করে আইএস জঙ্গিরা।
সূত্র: আল-জাজিরা।
/এসএ/বিএ/