দক্ষিণ কোরীয় ফেরিডুবির তিন বছর পর দেহাবশেষ উদ্ধার

দক্ষিণ আফ্রিকার ফেরিতিন বছর পর সাগরের তলদেশ থেকে উদ্ধার হওয়া দক্ষিণ কোরিয়ার ফেরিটিতে দেহাবশেষের সন্ধান পাওয়া গেছে। ভয়াবহ ও ফেরিডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ থাকা নয়জনের মধ্যে সেগুলো এক বা একাধিক যাত্রীর হাড়গোড় বলে মনে করা হচ্ছে। এক সংবাদ সম্মেলনে দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎসবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লী চিওল-জো খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল জিন্দো আইল্যান্ডের কাছে ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় নিহত হয় ৩০৪ জন। এরমধ্যে বেশিরভাগই স্কুল শিক্ষার্থী। নিহতদের বেশিরবাগকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও তিনজন নিখোঁজ হয়ে যায়। ফেরিটিও উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। গত সপ্তাহে পানির তলদেশ থেকে ফেরিটি উদ্ধার করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি ছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ফেরিটি উদ্ধারের সময় এক আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ওই দুর্ঘটনায় যারা নিখোঁজ হয়েছিল তাদের স্বজনরাও ফেরি উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ফেরিটিকে এখন একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর বসিয়ে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ মকপো বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার  সমুদ্র ও মৎসবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লী চিওল-জো  জানান, নৌকাটির পানি নিষ্কাশনের সময় যাত্রীদের একটি কক্ষের জানালা থেকে হাড়গুলো উদ্ধার হয়েছে।
লী আরও বলেন, ‘যে ছয় খণ্ড দেহাবশেষ পাওয়া গেছে তার দৈর্ঘ্য ৪ সে.মি. থেকে ১৮ সে.মি. পর্যন্ত।’

দেহাবশেষগুলো এক ব্যক্তির না একাধিক ব্যক্তির সে ব্যাপারে জানা যায়নি। তাদের শনাক্ত করতে ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।

/এফইউ/বিএ/