নিকোলা স্টার্জন তার গণভোটের প্রস্তাবে বলেছেন, ২০১৮ সালের শেষার্ধ বা ২০১৯ সালের শুরুর দিকে স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার জন্য গণভোট আয়োজন করা যেতে পারে। তবে গণভোট আয়োজনের সময় আলোচনাসাপেক্ষে হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছেন তিনি।
তবে স্কটল্যান্ডের পার্লামেন্টে গণভোটের পক্ষে রায় আসার পর স্টার্জন বলেন, ‘আমি আশা করি, যুক্তরাজ্য সরকার স্কটিশ পার্লামেন্টের এই আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান জানাবে। যদি তারা সেই সম্মান দেখায় তবে তাদের সঙ্গে আস্থা ও সমঝোতার মানসিকতা নিয়েও আমি আলোচনায় বসতে আগ্রহী।’
তবে যুক্তরাজ্য পার্লামেন্টকে সতর্ক করে দিয়ে স্টার্জন বলেন, ‘কিন্তু তারা (যুক্তরাজ্য সরকার) যদি আমাদের আকাঙ্ক্ষাকে সম্মান না দেখায়, তবে ইস্টারের ছুটির পর পার্লামেন্টে ফিরে গিয়ে স্কটিশ পার্লামেন্টের এই আকাঙ্ক্ষার বাস্তব রূপ দিতে করণীয় নির্ধারণ করব।’
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৪ সালেও স্বাধীনতার প্রশ্নে গণভোটে অংশ নেয় স্কটল্যান্ড। তবে ওই গণভোটে স্কটল্যান্ডের বেশিরভাগ নাগরিকই যুক্তরাজ্যের অংশ হিসেবে থেকে যাওয়ার পক্ষে রায় দেন। এর মধ্যে গত বছরের জুনে গোটা যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট গণভোটে অংশ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্ত নিলে নতুন করে আলোচনায় আসে স্কটল্যান্ডের স্বাধীন হওয়ার প্রসঙ্গটি। এরই ধারাবাহিকতায় স্কটিশ পার্লামেন্ট পুনরায় যুক্তরাজ্য থেকে স্বাধীন হওয়ার জন্য গণভোট আয়োজনের পক্ষে সিদ্ধান্ত নিলো।
এদিকে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া শুরুর এই সময়টি যুক্তরাজ্যের সাম্প্রতিক ইতিহাসের ‘সবচেয়ে তাৎপর্যপূর্ণ সময়’। মঙ্গলবার বার্মিংহামে বিনিয়োগকারীদের এক ফোরামে তিনি বলেন, ‘আগামীকাল (বুধবার) আমরা ইইউয়ের সঙ্গে নতুন ধরনের সম্পর্ক শুরুর বিষয়ে আলোচনা শুরু করছি। বৈশ্বিকভাবে ব্রিটেনের জন্য আরও কত ভালো ফলাফল নিয়ে আসা যায়, সেই সুযোগ গ্রহণের জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
ওই বক্তব্যে তিনি আজ বুধবার শুরু হতে যাওয়া ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনার কথা উল্লেখ করেন। গত বছরের জুনে ব্রেক্সিট গণভোটে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় আসার নয় মাস পর তিনি এই প্রক্রিয়া শুরু করতে যাচ্ছেন। লিসবন চুক্তির ৫০তম অনুচ্ছেদ সক্রিয় করার মাধ্যমে শুরু হবে ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের প্রক্রিয়াটি। এ প্রক্রিয়া সম্পন্নের জন্য সময় মিলবে দুই বছর।
আরও পড়ুন-
টিউলিপের ভাষণের পর ‘জয় বাংলা’ ধ্বনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টে
/এমএ/টিআর/