দক্ষিণ কোরিয়ায় ফেরি দুর্ঘটনা

উদ্ধারকৃত হাড় মানুষের নয়!

nonameতিন বছর পর সাগরের তলদেশ থেকে উদ্ধার হওয়া দক্ষিণ কোরীয় ফেরিতে পাওয়া হাড়গোড় মানুষের নয়। এর আগে ধারণা করা হয়েছিল এগুলো ফেরিডুবিতে নিহতদের দেহাবশেষ। কিন্তু ল্যাবে পরীক্ষার পর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এসব হাড় প্রকৃতপক্ষে প্রাণীদেহের। এগুলো মানুষের দেহাবশেষ নয়।

ভয়াবহ ও ফেরিডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ থাকা নয়জনের মধ্যে সেগুলো এক বা একাধিক যাত্রীর হাড়গোড় বলে মনে করা হচ্ছে।

এসব হাড়গোড় উদ্ধারের পর মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লি চিওল-জো। তিনি জানান, হাড়গুলো ভয়াবহ ওই ফেরিডুবির ঘটনায় এখনও নিখোঁজ থাকা নয়জনের মধ্যে এক বা একাধিক যাত্রীর হতে পারে।

উদ্ধারের পর হাড়গুলো পরীক্ষার জন্য ন্যাশনাল ফরেনসিক সার্ভিসে পাঠানো হয়। পরীক্ষা শেষে  সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয় যে, এসব হাড় মানুষের নয়।

২০১৪ সালের ১৬ এপ্রিল জিন্দো আইল্যান্ডের কাছে ফেরিটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় নিহত হন ৩০৪ জন। এরমধ্যে বেশিরভাগই স্কুল শিক্ষার্থী। নিহতদের বেশিরভাগকে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও নয়জন নিখোঁজ ছিলেন। ফেরিটিও উদ্ধার করা যাচ্ছিল না। গত সপ্তাহে পানির তলদেশ থেকে ফেরিটি উদ্ধার করা হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে এটি ছিল একটি মর্মান্তিক ঘটনা। ফেরিটি উদ্ধারের সময় এক আবেগঘন পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওই দুর্ঘটনায় যারা নিখোঁজ হয়েছিলেন তাদের স্বজনরাও ফেরি উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। ফেরিটিকে একটি প্ল্যাটফর্মের ওপর বসিয়ে বন্দরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এ সপ্তাহের শেষ নাগাদ মকপো বন্দরে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার  সমুদ্র ও মৎস্যবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা লি চিওল-জো  জানান, পানি নিষ্কাশনের সময় যাত্রীদের একটি কক্ষের জানালা থেকে হাড়গুলো উদ্ধার হয়েছে।

লি আরও বলেন, ‘যে ছয় খণ্ড দেহাবশেষ পাওয়া গেছে তার দৈর্ঘ্য ৪ সে.মি. থেকে ১৮ সে.মি. পর্যন্ত।’ সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/