থাইল্যান্ডে প্যানথেরা’র প্রোগ্রাম ডিরেক্টর জন গুডরিচ। তিনি বলেন, দেশের পূর্বাঞ্চলে এই প্রজাতির বাঘ খুঁজে পাওয়া আশ্চর্যজনক কিছু নয়। আইনের কঠোর প্রয়োগের ফলে বাঘ এখানে প্রজননে সক্ষম হয়েছে।
অবাধে বাঘ শিকার এবং বাঘের অভয়ারণ্য উজাড় হওয়ায় বিশ্বজুড়ে বাঘের সংখ্যা কমছে। বিশ্বজুড়ে বর্তমানে ইন্দো-চীনা প্রজাতির বাঘের সংখ্যা ২৫০টিরও কম। তবে সংরক্ষণবাদীদের বিশ্বাস, থাইল্যান্ডে বাঘ শিকার নিষিদ্ধ হওয়ায় জঙ্গলে এসব বাঘ শাবকের জন্ম ও বেড়ে ওঠা সম্ভব হয়েছে।
থাইল্যান্ডের ন্যাশনাল পার্কের পরিচালক সংটাম সাক্সওয়াং। তিনি বলেন, এ অঞ্চলে বন্যপ্রাণী শিকারবিরোধী টহল এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ব্যাপক চেষ্টার ফলে বাঘের নিরাপদ বংশবিস্তারের উপযোগী পরিবেশ তৈরির পথ সুগম হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই সজাগ থাকতে হবে। এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। কারণ সশস্ত্র শিকারী এখনও একটা বিরাট হুমকি।
চোরাচালানবিরোধী সংস্থা ফ্রিল্যান্ড এবং বন্যবাঘ সংরক্ষণবিষয়ক সংস্থা প্যানথেরা’র এক যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১০০ বছর আগে বন্যবাঘের সংখ্যা ছিল ১ লাখের মতো। বর্তমানে এ সংখ্যা মাত্র ৩৯ হাজারের নেমে এসেছে।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে আইনে বাঘ শিকার কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মূলত এ আইনের ফলেই দেশটিতে বিলুপ্তপ্রায় এই প্রজাতির বাঘ বনের গভীরে বংশবিস্তারে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করছেন সংরক্ষণবাদীরা। সূত্র: বিবিসি।
/এমপি/