প্রতি দশ মৃত্যুর একটি ঘটে ধূমপানে

Smokingবিশ্বজুড়ে প্রতি দশটি মৃত্যুর মধ্যে একটির কারণ হচ্ছে ধূমপান। কয়েক দশক থেকে তামাক নিয়ন্ত্রণনীতি চালু হলেও ধূমপায়ীদের সংখ্যা বাড়ছে। এছাড়া ধূমপানে মানুষের মৃত্যুর অর্ধেক ঘটনাই ঘটে চারটি দেশে- চীন, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া। সম্প্রতি এক গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। গবেষণা প্রতিবেদনটি আন্তর্জাতিক মেডিক্যাল জার্নাল দ্য ল্যানসেট-এ প্রকাশিত হয়েছে।

দ্য গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ শিরোনামের এই গবেষণা প্রতিবেদনটি ১৯৫টি দেশ ও অঞ্চলের ১৯৯০-২০১৫ সাল পর্যন্ত ধূমপানের অভ্যাসের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে। গবেষণার ফলাফলে দেখা যায়, ২০১৫ সালে বিশ্বের প্রায় ১০০ কোটি মানুষ প্রতিদিন ধূমপান করেছেন। প্রতি চার জন পুরুষের একজন এবং বিশ জনের মধ্যে একজন নারী। ১৯৯০ সালের তুলনায় সংখ্যাটি কম। ১৯৯০ সালে তিন পুরুষের একজন, বারো নারীর একজন ধূমপান করতেন।

তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেড়েছে। ১৯৯০ সালের তুলনায় ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৭০ মিলিয়ন। তামাকজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ২০১৫ সালে ছিল ৬৪ লাখ। যা ১৯৯০ সালের তুলনায় ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।

গবেষণায় দেখা গেছে, কয়েকটি দেশ মানুষের ধূমপান কমিয়ে আনতে পেরেছে। উচ্চ কর আরোপ, সতর্কতা এবং শিক্ষা ও সচেতনতার মাধ্যমে এসব দেশ সফল হয়েছে।

গত ২৫ বছরে ব্রাজিলে দৈনিক ধূমপানকারী পুরুষের সংখ্যা ২৯ শতাংশ থেকে কমে ১২ শতাংশে এসেছে এবং নারীদেরক্ষেত্রে ১৯ থেকে কমে ৮ শতাংশ হয়েছে।

গবেষণা প্রতিবেদন মতে, ২৫ বছরে বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনে ধূমপান কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি। রাশিয়ায় নারী ধূমপায়ীদের সংখ্যা বেড়েছে ৪ শতাংশ এবং আফ্রিকার কিছু দেশেও বৃদ্ধির প্রবণতা রয়েছে।

গবেষক ড. এমানুয়েলা গাকিডো বলেন, দীর্ঘ অর্ধশতাব্দী ধরে স্বাস্থ্যের ওপর তামাকে ঝুঁকি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। তারপরও এখন প্রতি চারজন পুরুষের একজন প্রতিদিন ধূমপান করেন।

গবেষক আরও বলেন, অকাল মৃত্যু ও পঙ্গুত্বের জন্য ধূমপান দ্বিতীয় বৃহত্তম ঝুঁকি। সূত্র: বিবিসি।

/এএ/