সমগ্র কাশ্মিরই ভারতের: সংসদে সুষমা

কাশ্মিরের গোটা ভূখণ্ডকেই ভারতের অংশ দাবি করে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ অভিযোগ করেছেন, পাকিস্তান এর একটি অংশ বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে। দিল্লি কর্তৃক পাকিস্তান-ভারত শান্তি আলোচনায় মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যানের একদিনের মাথায় কাশ্মির প্রশ্নে সরব হলেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি  বেলুচিস্তানকেও ভারতের অংশ দাবি করেছেন সুষমা। টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবর থেকে এসব কথা জানা গেছে।

জাতিসংঘে নিয়োজিত মার্কিন রাষ্ট্রদূত নিকি হ্যালি সোমবার নিউ ইয়র্কের এক কনফারেন্সে বলেন, মার্কিন সরকার ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে চিন্তিত। যে কোনো মুহূর্তে একটা বড় কিছু ঘটে যেতে পারে। ততদিন অপেক্ষা করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ট্রাম্প প্রশাসন বিষয়টিকে  গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং ভারত-পাকিস্তান মধ্যস্থতায় ভূমিকা রাখবে। কেননা ট্রাম্প প্রশাসন ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে অবগত।’ প্রতিক্রিয়ায় শান্তি প্রতিষ্ঠার মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে ভারত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে সে দেশের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে মঙ্গলবার বলা হয়, দুই দেশের সমস্যার দ্বিপাক্ষিক সমাধান চায় ভারত। তারা মনে করে, এখানে তৃতীয় কারও প্রয়োজন নেই। আর বুধবার সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান-ভারত সঙ্কটকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘গোটা পাক-অধিকৃত কাশ্মীরই আমাদের। এ ব্যাপারে লোকসভা এবং রাজ্যসভায় প্রস্তাব পাশ হয়ে গিয়েছে। গিলগিট বালটিস্তান নিয়ে পাকিস্তান তাদের মত জানানোর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলাম।’

আমেরিকায় নিযুক্ত পাকিস্তানি রাষ্ট্রদূত ইজাজ আহমেদ মধ্যস্থতা সংক্রান্ত মার্কিন প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়েছেন। তবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গোপাল বাগলে এক বিবৃতিতে মার্কিন মধ্যস্থতার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে বলেন, সন্ত্রাস এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশের সৃষ্টি হলেই কেবল দুই দেশের মধ্যে আলোচনা হবে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে জঙ্গিবাদে মদদ দেওয়ার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা চালান তিনি। আর লোকসভায় ওঠা এক প্রশ্নের জবাবে বুধবার সুষমা মধ্যস্থতার প্রস্তাবের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ‘কেউ যদি মনে করেন যে এই সরকার আমাদের ভূখণ্ডের উপরে অধিকার ছেড়ে দেবে তবে তিনি মারাত্মক ভুল করছেন। কেবল সংসদের প্রস্তাব নয়, কাশ্মীর নিয়ে আমাদের নিজস্ব অঙ্গীকার আছে।’

/বিএ/