মঙ্গলবার সকালে সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত ইদলিব প্রদেশের খান শেইখুনে চালানো ওই রাসায়নিক গ্যাস হামলায় অন্তত ৭২ জন নিহত হন, এদের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। শুরু হয় পারস্পরিক দোষারোপ। এই হামলায় সরকারী বাহিনীকে দুষছে আসাদবিরোধী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা। এরই ধারাবাহিকতায় ‘রাসায়নিক হামলা’কে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের জন্য হুমকি উল্লেখ করে সিরীয় সরকারের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
সার্বভৌম রাষ্ট্রের সরকারী স্থাপনাকে ঘোষণার মধ্য দিয়ে বহি:রাষ্ট্রের আক্রমণ যুদ্ধ ঘোষণার সামিল। তবে পেন্টাগনের বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, ভূমধ্যসাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর ডেস্ট্রয়ার থেকে সিরিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। ইউএসএস পোর্টার ও ইউএসএস রোস নামের জাহাজ থেকে ওই হামলা হয়।
হামলার ঘোষণা দিতে গিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ার ওই শায়রাত বিমানঘাঁটি থেকেই মঙ্গলবার রাসায়নিক হামলা চালানো হয়েছিল এবং তিনিই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক শেষে ফ্লোরিডার অবকাশযাপন কেন্দ্র মার আ লগোতে সিরীয় যুদ্ধ নিয়ে বিবৃতি দেন তিনি। সিরিয়ায় যুদ্ধ শেষ করতে বিশ্বের সব ‘সভ্য দেশের’ সহযোগিতা চান বিবৃতিতে।
হামলার খবর স্বীকার করেছে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনও। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে তারা জানায়, ‘বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে মার্কিন বাহিনী সিরিয়ার সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে আগ্রাসী হামলা করেছে।’
সূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর, গার্ডিয়ান, বিবিসি।
/এফইউ/এসএ/বিএ/