সিরিয়ায় ‘ছায়াযুদ্ধ’র প্রদর্শনী: মার্কিন হুমকি মোকাবিলায় আসছে রুশ রণতরী

রুশ রণতরীসিরিয়ায় মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিপরীতে কোনও সামরিক পদক্ষেপ না নেওয়ার কথা গতকালই জানিয়ে দিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ফলে  সিরিয়ার অভ্যন্তরে রুশ-মার্কিন যুদ্ধের আপাত কোনও আশঙ্কা নাই। তবুও 'ছায়াযুদ্ধের প্রদর্শনী' করতে বহুপক্ষীয় যুদ্ধে ক্ষত-বিক্ষত সিরিয়াকে ক্ষেপণাস্ত্রবাহী একটি রণতরী পাঠালো ক্ষমতাসীন আসাদ সরকারের প্রধান মিত্র রাশিয়া। 
শুক্রবারের মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ভূমধ্যসাগরের উপকূলে এটি পাঠানো হলো। মস্কোর সামরিক এবং কূটনৈতিক বিষয়ে অবহিত একটি সূত্র রাশিয়ার তাস সংবাদ সংস্থাকে এ খবর দিয়েছে।

শুক্রবার ভোরে দুই মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস পোর্টার এবং ইউএসএস রস থেকে আসাদ সরকার নিয়ন্ত্রিত ওই বিমানঘাঁটিতে ৫৯টি টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। সিরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হামলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতিসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এর প্রতিক্রিয়ায়   অ্যাডমিরাল গ্রিগোরোভিচ নামের কৃষ্ণ সাগরের বহরের রুশ রণতরী শনিবার ভূমধ্যসাগরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। সিরিয়ার বন্দর নগরী তারতুসে এ থাকবে এই রণতরী। সংবাদ সংস্থা তাস-এর খবর থেকে এসব জানা যায়।

সার্বভৌম রাষ্ট্রের ক্ষমতাকেন্দ্রকে লক্ষ্য করে পরিচালিত মার্কিন হামলাকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্টের দফতর ক্রেমলিন-এর মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এ হামলা একটি সার্বভৌম দেশের ওপর আগ্রাসন। এটা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন। যুক্তরাষ্ট্র সিরীয় সন্ত্রাসীদের মদদ দিচ্ছে বলে শুরু থেকেই অভিযোগ করে আসছে মস্কো। রুশ প্রতিক্রিয়ার জবাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী টিলারসন বলেন, মস্কোর অবস্থানে ‘যুক্তরাষ্ট্র হতাশ, তবে বিস্মিত নয়’।

সূত্রের বরাত দিয়ে তাস জানায়, রুশ যুদ্ধজাহাজে রয়েছে ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র কালিবার। এটি তারতুস বন্দরে যাবে।  চার হাজার টনের যুদ্ধজাহাজটি সিরিয়া উপকূলে কতদিন থাকবে তা পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে । তবে যে কোনও পরিস্থিতিতেই এটি এক মাসের বেশি সময় সেখানে থাকবে বলে জানানো হয়েছে।

ওই যুদ্ধজাহাজটি কৃষ্ণ সাগরে তুর্কি জাহাজের সঙ্গে যৌথ নৌমহড়ায় অংশ নেয়। এবার এটিকে ভূমধ্যসাগরে মোতায়েন করা হলো।

/বিএ/