মিসরে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি

তান্তার গির্জায় হামলার পরমিসরের তান্তা ও আলেক্সান্দ্রিয়ায়  দুটি গির্জাতে পৃথক বোমা হামলায় অন্তত ৪৫ জন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হওয়ার ঘটনায় দেশটিতে তিন মাসের জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি এ জরুরি অবস্থা জারির ঘোষণা দিয়েছেন। এর আগে গির্জায় হামলার ঘটনায় সারাদেশে সামরিক বাহিনীকে অবস্থান নেওয়ার আদেশ দেন তিনি। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

আলেক্সান্ড্রিয়ার গির্জায় হামলার পর উদ্বিগ্ন স্বজনরাতান্তা ও আলেক্সান্দ্রিয়ায় গির্জা দুটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)। মিসরে খ্রিস্টান সংখ্যালঘুদের ওপর ধারাবাহিক হামলার অংশ এটি।

খ্রিস্টানদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান ইস্টারের মাত্র এক সপ্তাহ আগে মিসরে হামলার হলো। চলতি এপ্রিলেই পোপ ফ্রান্সিসের দেশটিতে সফরে আসার কথা রয়েছে। তিনি এ হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।

হামলার পর প্রেসিডেন্ট সিসি নিন্দা জানান এবং দেশটির জাতীয় প্রতিরক্ষা কাউন্সিলে জরুরি বৈঠক ডাকেন।  বৈঠকের পর বিবৃতিতে সেনা মোতায়েনের নির্দেশের কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে সেনারা পুলিশকে সহযোগিতা করবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এরপর তিনমাসের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হলো।

বিবৃতিতে সিসি বলেন, এই হামলা আমাদের নিরাপত্তা, স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের জন্য কঠোর ও দৃঢ় করে তুলবে।

হামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে কয়েকহ হাজার শোকাতুর মানুষ তান্তা গির্জার সামনে জড়ো হয়েছেন। তাদের অনেকেই ফুঁপিয়ে কাঁদছিলেন। অনেকে শোকের কালো রঙের পোশাক পরে হাজির হয়েছেন।
গার্ডিয়ানের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার কায়রো থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে তান্তা শহরের একটি গির্জায় প্রথম বিস্ফোরণটি হয়। ওই ঘটনায় অন্তত ২৯ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে মিসরের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। আহত হয়েছে অন্তত ৭৮ জন।

তান্তার বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় আলেক্সান্দ্রিয়ায় দ্বিতীয় বিস্ফোরণটি হয়। এটি ছিল একটি আত্মঘাতী বোমা হামলা হয়। ওই হামলায় ১৬ জন নিহত হয়। তিন পুলিশ কর্মকর্তাসহ আহত হয় ৩৫ জন। সব মিলে দুই হামলায় প্রাণহানির সংখ্যা দাঁড়ায় ৪৫ জনে।

হামলার ঘটনায়  দায় স্বীকার করে আমাক-এ আইএস’র পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। সেখানে বলা হয়, ‘আইএস-এর একটি দল তান্তা ও আলেক্সান্দ্রিয়া শহরের গীর্জায় দুটি হামলা চালিয়েছে।’ সূত্র: রয়টার্স, গার্ডিয়ান, বিবিসি।

/জেএইচ/