আবারও উত্তপ্ত কাশ্মির: সীমান্ত ও নির্বাচনকেন্দ্রিক সংঘর্ষে নিহত ১২

indian-army_650x400_41491373609

নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতা আর সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে আবারও উত্তপ্ত কাশ্মির। রবিবার থেকে এ পর্যন্ত নির্বাচনকেন্দ্রিক সহিংসতায় ৮ জন নিহত হয়েছে। এদিকে সীমান্তে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটনের অভিযোগে ৪ জনকে হত্যা করেছে ভারতীয় সেনারা। বিভিন্ন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে এসব কথা জানা গেছে।

কাশ্মিরের উত্তরে কুপওয়ারা জেলায় লাইন অফ কন্ট্রোলে চার সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। দেশটির এক কর্মকর্তা দাবি করেন, সন্ত্রাসীদের হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে সমর্থ হয় সেনাবাহিনী। সোমবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এমনটা জানা যায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়, কাশ্মির সীমান্তে নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দেন। নিহত হয় ৪ জঙ্গি। দেশটির সামরিক মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া বলেন, ‘এলওসির কাছাকাছি সন্ত্রাসীদের বড় একটি হামলার পরিকল্পনা ব্যর্থ করে দিয়েছি আমরা। এখনো তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে রবিবার কাশ্মিরে শ্রীনগর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংসতায় আটজন নিহত হয়। আহত হয় প্রায় ১০০ জন। জম্মু ও কাশ্মিরের লোকসভা আসন নিয়ে নির্বাচন চলছে। এখন পর্যন্ত সেখানে ২০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে সেখানে। সর্বশেষ এই সংঘর্ষ শুরু হয় যখন আন্দোলনকারীরা নির্বাচন বয়কট করে ভোটকেন্দ্রগুলোতে হামলা চালাতে শুরু করে।

এনডিটিভির প্রতিবেদনে জানা যায়, সংঘর্ষে পাথর ও পেট্রল বোমা ছোঁড়া হয়। একটি ভোটকেন্দ্রে আগুন ধরিয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা। নিহতের প্রতিবাদে সোমবার থেকে দুইদিনের হরতালের ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। বুড়গ্রামের চারার-ই-শরীফ, বিরওয়া, চান্দুরা এবং নার্বালে কয়েকজন মারা গেছেন। দালওযান গ্রামে একটি ভোটকেন্দ্রে হামলার পর পুলিশ গুলি ছুঁড়ে। আন্দোলকারীরা একটি বাসেও আগুন ধরিয়ে দেয়।

রবিবার আরও আটটি রাজ্যে নির্বাচন হয়। অতার, মধ্যপ্রদেশেও সহিংসতার ঘটনা ঘটে। আতার এবং মধ্যপ্রদেশেও সহিংসতার কথা শোনা গেছে। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। গাড়িও ভাংচুর করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ গুলি চালিয়েছে। ১২ এপ্রিল আরও তিনটি রাজ্যে নির্বাচনের কথা রয়েছে। নির্বাচনে ফল জানা যাবে ১৫ এপ্রিল।

/এমএইচ/বিএ/