ঔপনিবেশিক আইন বাতিল করুন: বাংলাদেশ ও ভারতকে অ্যামনেস্টি

nonameঔপনিবেশিক আইন বাতিল করে নিজ নিজ দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নকে প্রাধান্য দিতে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারকে তাগিদ দিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চারদিনের ভারত সফরের প্রেক্ষাপটে দেওয়া এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি দুই দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি তুলে ধরে ‘স্থিতিশীল গণতন্ত্রের গর্ব’কে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।  

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্ডিয়ার নির্বাহী পরিচালক আকার প্যাটেল বলেছেন, ‘স্থিতিশীল গণতন্ত্রের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ও ভারত যখন গর্ববোধ করছে তখন মানবাধিকারের সুরক্ষায় দুই দেশকে আরও বেশি কিছু করতে হবে।’

অ্যামনেস্টির অভিযোগ, ২০১৪ সাল থেকে বাংলাদেশে সমালোচনামূলক সংবাদ প্রকাশ বন্ধ করার প্রচেষ্টা বেড়েছে। সংগঠনটির দাবি, ‘সমালোচনাকারী সাংবাদিকদের হয়রানি করতে রাষ্ট্রদ্রোহ ও অপরাধমূলক মানহানির আইনগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা হয়। কর্তৃপক্ষ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনও ব্যবহার করে থাকে। অস্পষ্টভাবে প্রণীত এই আইনের মাধ্যমে সাংবাদিক, মানবাধিকারের সুরক্ষাকারী, পরিবেশবাদী কর্মীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমালোচনাকারী অনেককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়ে থাকে।

অ্যামনেস্টি মনে করছে, সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তু হওয়া স্বতন্ত্র ব্লগারসহ সেক্যুলার অ্যাক্টিভিস্টদেরকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ প্রায়ই ব্যর্থ হচ্ছে। ২০১৩ সাল থেকে ভয়াবহ হামলায় এরকম অন্তত সাতজন অ্যাক্টিভিস্ট নিহত হয়েছে।’  ভারতও ভিন্নমত ও জনবিতর্কের ওপর দমন-পীড়ন চালাতে একই ধরনের আইন ব্যবহার করছে বলে দাবি করেছে অ্যামনেস্টি।

সংস্থাটির ভারতীয় নির্বাহী পরিচালক আকার প্যাটেল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতকে অবশ্যই উপনিবেশিক আইন ব্যবহার করে মুক্তমতের চর্চাকারীদের ওপর দমন-পীড়ন বন্ধ করতে হবে। উপমহাদেশে স্বাধীনতার জন্য যারা লড়াই করেছে তাদের বিচার করতে মূলত এ আইনগুলোর খসড়া হয়েছিল। অথচ লজ্জাজনকভাবে সেই উপনিবেশিক আইনগুলো এখনও ভারতীয় ও বাংলাদেশি আইনে জায়গা করে আছে।’

মিয়ানমারের মানবাধিকার সংকট মোকাবেলায় একসঙ্গে কাজ করার জন্যও বাংলাদেশ ও ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে অ্যামনেস্টি।

/এফইউ/বিএ/