যুক্তরাজ্যের এক বিশ্ববিদ্যালয়ে এ-লেভেলে অধ্যয়নরত ১৯ বছর বয়সী মালালা জাতিসংঘ শান্তিদূত হিসেবে নারীশিক্ষার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করবেন বলে জানা গেছে।
নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘের এই সম্মাননা গ্রহণ করে মালালা বলেন, ‘পরিবর্তনের শুরু আমাদের সঙ্গে আসে এবং আমাদেরকে শুরুটা এখনই করতে হবে। আপনারা (মেয়েরা) যদি নিজের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল দেখতে চান, তবে আপনাদেরই তার জন্য এখন থেকে কাজ শুরু করতে হবে, অন্য কারও জন্য অপেক্ষা করা যাবে না।’
২০১২ সালে নারীশিক্ষা এবং মেয়েদের স্কুলে যাওয়া অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় পাকিস্তানের কিশোরী মালালাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে তালেবান হামলাকারীরা।
জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, “মালালা ইউসুফজাইকে সম্ভবত পৃথিবীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় – ‘সবার জন্য শিক্ষা’-র প্রতীক বানানো হয়েছে।”
এর আগে মুষ্টিযোদ্ধা মুহাম্মদ আলী, জর্জ ক্লুনি, অভিনেতা মাইকেল ডগলাস, লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিওকেও জাতিসংঘ শান্তিদূত করা হয়েছিল।
২০১২ সালে নারীশিক্ষা এবং মেয়েদের স্কুলে যাওয়ার অধিকার নিয়ে সোচ্চার হওয়ায় পাকিস্তানের কিশোরী মালালাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে তালেবান জঙ্গিরা। মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফেরার পর আবারও নারী শিক্ষা ও নারী অধিকার নিয়ে কাজ শুরু করেন তিনি। এর স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৪ সালে মালালা ইউসুফজাই নোবেল শান্তি পুরস্কার লাভ করেন।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ শান্তিদূত নির্ধারিত হন শিল্প, সাহিত্য, বিজ্ঞান, বিনোদন, খেলা অথবা অন্য কোনও ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখা ব্যক্তিদের মধ্য থেকে।
/এসএ/