ন্যাটো আর অচল নয়: ট্রাম্প

জেন্স স্টোলটেনবার্গ এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, পশ্চিমা দুনিয়ার সামরিক জোট ন্যাটো আর অচল নয়। অনেক আগে আমি এ সংস্থাটি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলাম। সে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। এখন তারা সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। তখন আমি বলেছিলাম ন্যাটো অচল। তবে এখন আর এটি অচল নয়। বুধবার হোয়াইট হাউসে ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ-এর সঙ্গে বৈঠকের পর আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

চমৎকার ও গঠনমূলক একটি আলোচনার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান ন্যাটো মহাসচিব জেন্স স্টোলটেনবার্গ।

ট্রাম্প বলেন, সন্ত্রাসবাদের হুমকি ন্যাটোর গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তারা আরও কী করতে পারে; সে ব্যাপারে সংস্থাটির মহাসচিবের সঙ্গে আমার গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে। তবে ইরাক এবং আফগানিস্তানে আমাদের অংশীদারদের জন্য ন্যাটোর আরও করণীয় রয়েছে।

নিজের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের ইউরোপীয় মিত্রদের অস্বস্তি কাটাতেই ট্রাম্প এমন বক্তব্য দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ন্যাটোভুক্ত অনেক দেশের আশঙ্কা, রুশ ঘনিষ্ঠ ট্রাম্প প্রশাসন ইউরোপকে উপেক্ষা করে শুধু মার্কিন স্বার্থ নিয়েই সন্তুষ্ট থাকবে।

নির্বাচনি প্রচারণায় ইসলামবিদ্বেষ ও অভিবাসীবিদ্বেষের পাশাপাশি ন্যাটোরও কঠোর সমালোচনা করেন ট্রাম্প। সে সময় তিনি ন্যাটোকে পুরনো ধাঁচের ও অকার্যকর সংগঠন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। তবে বুধবার ন্যাটো মহাসচিবের সঙ্গে সাক্ষাতে দৃশ্যত আগের অবস্থান থেকে সরে এলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ন্যাটোর সবচেয়ে বড় তহবিল যোগানদাতা দেশ যুক্তরাষ্ট্র। এর ব্যয়ের ৭০ শতাংশই বহন করে দেশটি। নির্বাচনি প্রচারণায় এর কঠোর সমালোচনা করে ট্রাম্প বলেছিলেন, ন্যাটো যদি তার ব্যয় বাবদ মার্কিন নির্ভরতা কমিয়ে না আনে, তাহলে তাদের দিক থেকে ওয়াশিংটনের মুখ ফিরিয়ে নেওয়া উচিত। এক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন করে ভাবার সুযোগ রয়েছে। বুধবারের সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে নিজের আগের অবস্থানের পুনরাবৃত্তি করেন ট্রাম্প। তিনি ন্যাটোর প্রয়োজনীয় তহবিলের যোগান দিতে সংস্থাটির সদস্য দেশগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ন্যাটোভুক্ত দেশগুলো যদি যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে তাদের ভাগের ন্যায্য অর্থ সংস্থাটিতে প্রদান করে তাহলে সেটা একটা পরিবর্তন সূচিত করতে পারে। তাহলে আমরা সবাই অনেক বেশি নিরাপদ হবো।

এর আগে গত মার্চে হোয়াইট হাউসের এক বিবৃতিতে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ন্যাটোর প্রতি আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা, বিশেষ করে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে মিত্র দেশগুলোর দায়িত্ব ভাগাভাগি এবং ন্যাটোর ভূমিকা নিয়ে আলোচনার জন্য প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ন্যাটোভুক্ত দেশগুলোর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে আগ্রহী। সূত্র: বিবিসি।

/এমপি/