হোমল্যান্ড সিকিউরিটির নথি ফাঁস

দ্রুত অভিবাসী বিতাড়নকারী বাহিনী গড়তে তৎপর ট্রাম্প প্রশাসন!

অভিবাসীযুক্তরাষ্ট্র থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। এর অংশ হিসেবে দেশজুড়ে অভিবাসনবিরোধী বাহিনী গড়ে তোলা, শত শত নতুন শুল্ক ও সীমান্ত টহল কর্মকর্তা নিয়োগে গতি বাড়ানোসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া স্থানীয় পুলিশকে শক্তিশালী করার ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। হোমল্যান্ড সিকিউরিটির একটি অভ্যন্তরীণ বিভাগের নথি হাতে পাওয়ার দাবি করে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট এসব তথ্য জানিয়েছে। অবশ্য, এ নথিকে ‘সিদ্ধান্ত পূর্ববর্তী নথি’ বলে উল্লেখ করেছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ।

সংবাদমাধ্যমটি জানায়, হোমল্যান্ড সিকিউরিটি এরইমধ্যে অনথিভুক্ত অভিবাসীদের আটক করতে আটককেন্দ্রগুলোতে আরও ৩৩ হাজার শয্যা বাড়ানো হচ্ছে। বেশ কয়েকটি স্থানীয় পুলিশ বাহিনীকে সরাসরি আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের ক্ষমতা দেওয়ার ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনা হয়েছে। কোন জায়গা থেকে ট্রাম্পঘোষিত সীমান্ত প্রাচীরটির নির্মাণ কাজ শুরু করা যাবে তাও শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি আরও জানায়, শত শত নতুন শুল্ক ও সীমান্ত টহল কর্মকর্তার নিয়োগের গতি বাড়াতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছে হোমল্যান্ড সিকিউরিটি। কোনও কোনও ক্ষেত্রে পলিগ্রাফ (মিথ্যা শনাক্তকারী পরীক্ষা) ও শারীরিক সক্ষমতা পরীক্ষার অবসান ঘটানোর কথা ভাবা হচ্ছে।

প্রশাসনিক কর্মকর্তারা বলছেন, এ পরিকল্পনাগুলো প্রাথমিক পর্যায়ের এবং হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের জ্যেষ্ঠ ব্যবস্থাপকরা তা পর্যালোচনা করেননি। তবে অভিবাসী বিতাড়ন জোরালো করতে এবং সীমান্ত বাহিনীকে শক্তিশালী করতে গত জানুয়ারিতে ট্রাম্প যে দুটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছিলেন এটি তারই নমুনা বলে মনে করছে ওয়াশিংটন পোস্ট।

তবে ওয়াশিংটন পোস্টের হাতে আসা এ নথিকে ‘সিদ্ধান্ত-পূর্ববর্তী নথি’ হিসেবে উল্লেখ করে এ নিয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মুখপাত্র গিলিয়ান ক্রিস্টেনসেন। আর এ ধরনের পরিকল্পনাকে অপ্রয়োজনীয়ভাবে টাকা ও সম্পদ নষ্ট করা বলে মনে করছে অভিবাসন-অধিকারকর্মীরা।

উল্লেখ্য, নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে ট্রাম্প মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণ করা এবং মুসলিম ও শরণার্থীদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশাধিকার সাময়িক সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করার কথা বলেছিলেন। আর এই বিষয়টি ছিল ট্রাম্পের নির্বাচন জয়ের অন্যতম ক্ষেত্র।

/এফইউ/