আনুষ্ঠানিকভাবে অভিযুক্ত দ.কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট

cabf4c52c52d8c647507b87626580d89-58ddce3be202e

দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে  দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়েছে। সোমবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তার বিরুদ্ধে ঘুষগ্রহণের আনুষ্ঠানিক অভিযোগ এনেছে আদালত।

আইনজীবীরা জানান, তার বিরুদ্ধে ঘুষ,রাষ্ট্রীয় তথ্য ফাঁস ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এর আগে ৩০ মার্চ বৃহস্পতিবার সিউল সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক কোর্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। এরপরই তাকে গ্রেফতার করা হয়। তিনি হলেন দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্টের মধ্যে তৃতীয়, যারা ফৌজদারি অপরাধে গ্রেফতার হয়েছেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন ৬৫ বছর বয়সী পার্ক। এরপর থেকেই তার বিরুদ্ধে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। পার্কের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ, নিজ ক্ষমতার অধীনে তিনি তার বন্ধুকে দুর্নীতি করার সুযোগ করে দেন।

পার্ক গিউন-হাইয়ের বন্ধু চোই সুন-সিল প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সম্পর্কের সুবাদে অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠান থেকে অনুদানের নামে ৬৫.৫ মিলিয়ন ডলার হাতিয়ে নেন। এর মধ্যে স্যামসাং এবং হুন্দাই-এর মতো কোম্পানিও রয়েছে। ওই অর্থ সন্দেহভাজন একটি ফাউন্ডেশনের নামে নেওয়া হয়। পরে তিনি সেখান থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হন। স্যামস্যাংসহ অন্যান্য বড় কোম্পানি থেকে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি সত্যি প্রমাণিত হলে ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে গিউনের।

গত ১০ মার্চ পার্ক জিউন হাইকে অভিশংসিত করা নিয়ে পার্লামেন্টের নেওয়া সিদ্ধান্তটি বহাল রাখে সাংবিধানিক আদালত। আর এর মধ্য দিয়ে চূড়ান্তভাবে ক্ষমতাচ্যুত হন হাই। এর আগে পার্লামেন্টে তার অভিসংশন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট পড়ে ২৩৪টি এবং বিপক্ষে ভোট পড়ে মাত্র ৫৬টি।  

পার্লামেন্টে অভিশংসিত হওয়ার পর গত ডিসেম্বর থেকে পার্ককে প্রেসিডেন্ট হিসেবে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে রাখা হয়েছিল। আর এ সময় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। আগামী ৯ মে দেশটিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

পার্ক গিউন-হাই ১৯৬৩ থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত দক্ষিণ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন সাবেক প্রেসিডেন্ট পার্ক চুং-হাইয়ের বড় মেয়ে।

সূত্র: বিবিসি

/এমএইচ