প্রতিবেদনে বলা হয়, ১৯৭৭ সালে লিবলি গারগোন এলাকায় জন্ম নেওয়া করিম শরফি একজন ফরাসি নাগরিক। ৩৯ বছর বয়সী এ ব্যক্তি প্যারিসের পূর্বদিকে চেলেস এলাকায় থাকতেন। হত্যাচেষ্টা, সহিংসতা ও চুরির অপরাধে চারবার কারাবরণ করতে হয়েছে তাকে। বার বার পুলিশের বিরুদ্ধে বিদ্বেষ দেখাতে দেখা গেছে তাকে। ২০০১ সালের এপ্রিলে চুরি করা একটি গাড়ি নিয়ে পালানোর সময় তাকে ধাওয়া করা দুই ব্যক্তিকে গুলি করে আহত করেন তিনি। তাদের একজন ছিলেন সাদা পোশাকধারী পুলিশ। ২০০৩ সালে দুই পুলিশকে গুলি করার অপরাধে আবারও কারাভোগ করেন করিম শরফি। পুলিশকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে সম্প্রতি আবারও তাকে আটক করা হয়। তবে প্রমাণ না থাকায় শেষ পর্যন্ত ছাড়া পেয়ে যান করিম শরফি।
তার আইনজীবী করিম শরফিকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলে উল্লেখ করেছিলেন। আর প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, করিম শরফির মধ্যে তারা কখনও ধর্মের প্রতি আগ্রহবোধ দেখেননি। প্যারিস প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিনস বলেছেন, হামলাকারীর সঙ্গে ইসলামী উগ্রপন্থার সংযোগ থাকার আপাত প্রমাণ তারা পাননি।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে মলিনস জানান, অনেক বছর কারাগারে থাকার পরও করিম শরফির মধ্যে উগ্রপন্থার কোনও আলামত ছিল না। জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে শরফির যোগসূত্র ছিল কিনা সে ব্যাপারেও স্পষ্ট হওয়া যায়নি। হামলার পর জঙ্গি সংগঠন আইএস-এর পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দিয়ে এর দায় স্বীকার করা হয়। আবার আইএসকে সমর্থন করে লেখা একটি নোট হামলাকারীর মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়। তবে আইএস-এর পক্ষ থেকে হামলাকারীর নাম আবু ইউসূফ আল-বালজিকি বলে উল্লেখ করা হয়েছিল যা প্রসিকিউটর ঘোষিত নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়নি।
/এফইউ/