ভেনেজুয়েলায় সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহত ১২

মলোটোভ ককটেল ছুড়ছেন এক বিক্ষোভকারীসরকারবিরোধী ব্যাপক বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে লাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলা। বৃহস্পতিবার দেশটির রাজধানী কারাকাসে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের রাতভর সংঘর্ষে অন্তত ১২ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার ভেনেজুয়েলার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সংঘর্ষে আরও অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন। এর ফলে গত তিন সপ্তাহের বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।  

ভেনেজুয়েলার ভাইস প্রেসিডেন্ট তারেক এল আইসামি সংঘর্ষের জন্য বিরোধী দলকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘অপরাধী চক্রের সহযোগী বিরোধী দলের নেতৃত্বে ভেনেজুয়েলা এক অপ্রচলিত যুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে।’

রাজধানী কারাকাসের পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণে দাঙ্গা পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

বিক্ষোভে উত্তাল কারাকাস

শুক্রবার দেশটির জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারাকাসের নিকটবর্তী এল ভাল্লে এলাকায় ১১ জন নিহত হয়েছেন। তাদের বয়স ১৭ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। কারাকাসের পূর্বে এল সুকরে এলাকায় আরও একজন নিহত হয়েছেন। সংঘর্ষে হতাহতের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

বিরোধী নেতারা অভিযোগ করছেন, সরকার ‘সশস্ত্র লুটেরাদের’ পাঠাচ্ছে তাদের সম্পদ লুট করার জন্য। বিরোধী নেতা কার্লোস ইয়েনেজ এ অবস্থাকে ‘যুদ্ধের মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিরোধী দলের নেতারা মাদুরোকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অপরদিকে মাদুরো বলছেন, বিরোধীরা শক্তি প্রয়োগ করে তার সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে। চলমান বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে বলেও উল্লেখ করেছেন মাদুরো।

কারাকাসে সংঘর্ষ

ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে মলোটোভ ককটেল বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করছেন।

শুক্রবার কারাকাস ও এর আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক উপস্থিতি দেখা গেছে।  

বৃহস্পতিবার কারাকাস ও ভেনেজুয়েলার পশ্চিমাঞ্চলে প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরো বিরোধী বিশাল জনসমাগম হয়। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষ শুরু হয়। দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে গত তিন সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। ২০১৪ সালের পরে সবচে বড় সরকার বিরোধী বিক্ষোভ এটি।

/এসএ/