অস্ট্রেলিয়া সফররত পেন্স সিডনিতে ওই সংবাদ সম্মেলনে শরণার্থী চুক্তি সম্পর্কে বলেন, ‘আমরা আমাদের এক গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের সম্মানে ওই চুক্তি বাস্তবায়ন করবো।’ তবে তিনি আরও বলেন, ‘এ চুক্তি বহাল রাখার মানে এ নয় যে, আমরা চুক্তিটির পক্ষে রয়েছি।’
উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা পাপুয়া নিউ গিনি ও নাউরু দ্বীপের শরণার্থী শিবিরে আটক এক হাজার ২৫০ জন শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে গ্রহণ করার বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করেছিলেন। এর বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া এল সালভাদর, গুয়েতেমালা এবং হন্ডুরাসের শরণার্থীদের গ্রহণ করবে।
তবে পেন্সের বক্তব্যের পরও ওই চুক্তি শঙ্কামুক্ত নয় বলেই মনে করছেন মানবাধিকারকর্মীরা। ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের অস্ট্রেলিয়া শাখার রিফিউজি কোঅর্ডিনেটর গ্রাহাম থম বলেন, ‘এটা এখনও পরিষ্কার নয় যে, কতোজন মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে অভিবাসন গ্রহণের সুযোগ পাবেন। এ বিষয়টিতে স্বচ্ছতা প্রয়োজন।’
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের সম্পর্ক প্রথম থেকেই খুব ভালো যাচ্ছে না। ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেছিলেন টার্নবুল। তখন ওই শরণার্থী চুক্তি নিয়ে দুই নেতার মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এক পর্যায়ে ধমক দিয়ে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রীর ফোন কেটে দেন ট্রাম্প।
ট্রাম্প ওই শরণার্থী চুক্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘কীভাবে ওবামা প্রশাসন এ ধরনের চুক্তি করতে পারে তা বোধগম্য হয় না।’
পরে এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানান, ‘আপনি কি বিশ্বাস করেন? ওবামা প্রশাসন অস্ট্রেলিয়া থেকে হাজার হাজার শরণার্থীকে যুক্তরাষ্ট্রে আনতে চুক্তি করেছে। আমি এই বধির চুক্তিটি খতিয়ে দেখবো।’
/এসএ/