উল্লেখ্য, সেলেজনেভের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০০৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০১৩ সালের অক্টোবর তিনি ৫০০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হ্যাক করেন এবং সেখানে ম্যালওয়ার স্থাপনের মাধ্যমে ওয়াশিংটন স্টেট-এ থাকা রেস্টুরেন্ট আর পিৎজা পার্লারসহ বিভিন্ন ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানে থাকা ক্রেডিট কার্ড নাম্বার হাতিয়ে নেন। এরপর ওই ক্রেডিট কার্ড নাম্বারগুলো বিভিন্ন বিশেষ ওয়েবসাইটের কাছে বিক্রি করে দেন তিনি। আর ক্রেতারা ওই কার্ড নাম্বারগুলো ব্যবহার করে জালিয়াতিমূলক কেনাকাটা করেন। ২০১৪ সালে সেলেজনেভকে মালদ্বীপ থেকে আটক করা হয়।
সেলেজনেভ-এর বাবা ভ্যালেরি সেলেজনেভ রাশিয়ান পার্লামেন্ট-এর একজন সদস্য।
সাজা ঘোষণার আগে নিজের স্বাস্থ্য অবস্থার কথা বিবেচনা করার (২০১১ সালে মরক্কোতে এক বোমা হামলায় আহত হয়েছিলেন) জন্য বিচারকের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সেলেজনেভ। তার কর্মকাণ্ডের কারণে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের কাছেও ক্ষমা চান তিনি। কিন্তু বিচারক তাতে সাড়া দেননি।
সাজা ঘোষণার পর সেলেজনেভের আইনজীবী তার মক্কেলের হাতে লেখা একটি বিবৃতি পড়ে শোনান।‘যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এ সিদ্ধান্তটি পুরো বিশ্বের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে আমি একজন রাজনৈতিক বন্দি। যুক্তরাষ্ট্র আমাকে অপহরণ করেছে। এখন তারা আমাকে দাবার গুটি হিসেবে ব্যবহার করে বিশ্বের কাছে একটি বার্তা পাঠাতে চাইছে। গণতান্ত্রিক দেশের বিচারব্যবস্থা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আজ রাশিয়ার ভ্লাদিমির পুতিন কিংবা বিশ্বের যেকোনও সরকারের কাছে যে বার্তা পাঠাচ্ছে তা প্রদর্শনের এটি সঠিক পথ নয়।’
/এফইউ/