বৃহস্পতিবার পানামা পেপারস কেলেঙ্কারি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সন্তানদের বিষয়ে অনুসন্ধানের জন্য একটি যৌথ তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যে কর্মকর্তাদের প্রধানমন্ত্রী নিজেই নিয়োগ করেছেন, ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে ওই কর্মকর্তারা কিভাবে দুর্নীতির অনুসন্ধান সঠিকভাবে চালাতে পারেন?
শনিবার লাহোর হাইকোর্ট বার এসোসিয়েশন এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছে, ২০০৭ সালে প্রধান বিচারপতির বরখাস্তকে কেন্দ্র করে যেমন আন্দোলন হয়েছিল, নওয়াজ পদত্যাগ না করলে এর থেকেও বড় আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশারফ প্রধান বিচারপতি ইফতিখার চৌধুরীকে বরখাস্ত করলে আইনজীবীরা যে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলেন। ওই আন্দোলনের ফলে প্রেসিডেন্ট মোশারফ ওই বিচারপতির বরখাস্তের আদেশ বাতিল করতে বাধ্য হন।
সংবাদ সম্মেলনে এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট জুলফিকার চৌধুরী বলেন, ‘বৃহস্পতিবারের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বিশ্বব্যাপী জনগুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা মানুষেরা এমন কেলেঙ্কারি প্রকাশিত হলে পদত্যাগ করলেও আমাদের প্রধানমন্ত্রীর কাছে ক্ষমতায় থাকাটাই মূল কথা। এ প্রধানমন্ত্রীর অধীনে প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চালানো তদন্ত কিভাবে সঠিক পথে এগোতে পারে?’
বার এসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট রশীদ লোধি বলেন, ‘এবারই প্রথম কোনও উচ্চ পদস্থ ব্যক্তির দুর্নীতি মামলা সুপ্রিম কোর্টে গেছে। আদালতে তার অর্থপ্রাপ্তির বিষয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এসেছে। আর আমরা তা এড়িয়ে যেতে পারি না।’
পাকিস্তানের বিরোধী দলগুলোও নওয়াজ শরীফের পদত্যাগ দাবি করছে। পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই), পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) এবং জামায়াত-ই-ইসলামি (জেআই) দাবি জানিয়েছে, যৌথ তদন্ত দলের অনুসন্ধান শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন নওয়াজ প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেন।
/এসএ/