উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বালখ প্রদেশের রাজধানী মাজার-ই-শরিফের সেনা ঘাঁটির একটি মসজিদের কাছে শুক্রবার (২১ এপ্রিল) এ হামলা হয়। সামরিক পোশাকে এবং দুটি সামরিক যানে করে সেনাঘাঁটির গেটে হাজির হয় ছয়-দশজনের মতো হামলাকারী। নিরাপত্তারক্ষীকে তারা বলে ওই গাড়িগুলোতে করে আহত সেনাদের নেওয়া হচ্ছে এবং তাদের জরুরি ভিত্তিতে ভেতরে ঢোকা প্রয়োজন। পরে সেনা সদস্যদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড হামলার পাশাপাশি গুলি করতে থাকে তারা। সেসময় বেশ কয়েকজন হতাহত হন।
শনিবার, হামলাস্থল পরিদর্শনে যান আশরাফ ঘানি। নিহত সেনাদের স্মরণে রবিবার সারাদেশে একদিনের শোক পালনের ঘোষণা দেন তিনি। জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকও করেন আশরাফ ঘানি। এ ঘটনায় ‘গুরুতরভাবে’ তদন্ত চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয় সেসময়।
শুক্রবারের ওই হামলার দায় স্বীকার করে তালেবান জানায়,তাদের হামলাকারীরা আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে প্রথমেই ঘাঁটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ভেঙ্গে দিয়েছে। সম্প্রতি আফগানিস্তানের উত্তরাঞ্চলে তালেবানের কয়েকজন শীর্ষ নেতাকে হত্যার জবাবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলেও দাবি করেছে সংগঠনটি।
আফগানিস্তানে মোতায়েনকৃত বিদেশি সেনা সদস্যরা প্রায়ই ঘাঁটিটি ব্যবহার করে থাকে বলে জানিয়েছে রয়টার্স। এ ঘাঁটিতে তারা আফগান বাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহায়তা দিয়ে থাকেন।
/এফইউ/