অনলাইনে ‘হেট ক্রাইম’ রুখতে কাজ করবে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড

newscotlandyard0302a

অনলাইনে ঘটা হেট ক্রাইম মোকাবেলায় বিশেষ এক ইউনিটের ঘোষণা দিয়েছে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। ২৪ এপ্রিল সোমবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এই পাঁচ সদস্যের এই ইউনিট অনলাইনে হয়রানির বিষয়ে অনুসন্ধান ও প্রতিকারে কাজ করবে। সোমবার লন্ডনের মেয়র সাদিক খান জানান, ‘আমরা জানি যারা হেট ক্রাইমের শিকার হন তাদের উপর এটা কেমন ভয়াবহ প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে অনলাইনে। হামলাকারীরা মনে করেন, তারা বোধহয় পর্দার আড়ালে লুকিয়ে আছেন। কিন্তু তাদের এই ধারণা ভুল।’

প্রথমবারের মতো এই গঠিত বিশেষ এই পুলিশ বাহিনীকে লন্ডনের মেয়র অফিসের পুলিসিং এন্ড ক্রাইম আর্থিক সহায়তা করছে। এছাড়া যুক্তরাজ্যের পুলিশ ইনোভেশন ফান্ড থেকে এর পেছনে ব্যয় হচ্ছে ৪ লাখ ৫২ হাজার পাউন্ড। ধারণা করা হচ্ছে দুই বছরে বিশেষ এই ইউনিটের পেছনে খরচ হবে ১৭ লাখ পাউন্ড।

সাদিক খান বলেন, ‘আমার পদক্ষেপ স্পষ্ট। এই বিষয়ে কোনও ছাড় নয়। আমরা এসব হামলার শিকারদের সহায়তা করার চেষ্টা করছি। এন্টি-হেট সংগঠনগুলোর পরামর্শ নিয়ে আমরা তাদের নিরাপত্তাও জোরদারের চেষ্টা করছি। এই সংগঠনগুলো খতিয়ে দেখবে কোনটা আসলেই ক্ষতি করছে এবং নির্মূল করতে হবে।’

লন্ডন পুলিশের কাছে সবধরনের হেটক্রাইমের অভিযোগ আসে। ফেসবুক-টুইটারসহ সব সামাজিক মাধ্যমে ঘটা অভিযোগ গুলো এই খতিয়ে দেখবে এই বিশেষ ইউনিট। কর্মকর্তারা এসময় অন্যান্য সংগঠনগুলোর সাথে কথা বলবে এবং পুলিশের সঙ্গে অনুসন্ধান কাজ এগিয়ে নিয়ে যাবে।

সিটি হল থেকে জানানো হয়, এই বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমগুলোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও কথা বলতে পারে অ্যান্টি হেট ক্রাইম ইউনিট। ব্রিটিশ পুলিশ বাহিনী পাঁচটি বিষয়ের উপর অনলাইন হেট ক্রাইম নজর রাখবে। তার হলো বর্ণ, ধর্ম, প্রতিবন্ধকতা, যৌনতা বিষয়ক ও লিঙ্গান্তর পরিচয়।

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলোতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের জুনে ব্রেক্সিটকে ঘিরে জেগে উঠা হেট ক্রাইমের সংখ্যা অনেক বেশি ছিল। ২০১৫/১৬ সালে পুলিশের কাছে এমন ৬২ হাজার ৫১৮ অভিযোগ জমা পড়ে। আগের বছরে ৫২ হাজার ৪৬৫ অভিযোগের তুলনায় যা ১৯ শতাংশ বেশি।

/এমএইচ/