ভেনেজুয়েলায় তিন সপ্তাহের রাজনৈতিক সহিংসতায় নিহত ২৪

বিক্ষুব্ধ ভেনেজুয়েলালাতিন আমেরিকার দেশ ভেনেজুয়েলায় সোমবার সরকারপন্থী ও বিরোধী দলের সংঘর্ষে আরও তিনজন নিহত হয়েছেন। এর ফলে তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে চলা সরকারবিরোধী বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৪ জনে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা এ খবর জানিয়েছে।

ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর পক্ষে বের হওয়া এক মিছিলের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে মেরিদা রাজ্যের স্থানীয় সরকারের এক কর্মকর্তা নিহত হন বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়। বারিনাস রাজ্যের অপর এক সরকারি কর্মকর্তা বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন বলে জানানো হয়েছে।

সংঘর্ষে আরও এক বিরোধী দলীয় সমর্থক নিহত হন। বিরোধী দল জাস্টিস পার্টির দাবি, সরকারবিরোধী মিছিলে সরকারপন্থী সশস্ত্র সমর্থকদের হামলায় ওই ব্যক্তি নিহত হন।

সরকারি কর্মকর্তা অবদুসমান তারেকের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত অবস্থায় ‘জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে’ রয়েছেন।

সম্প্রতি বিরোধী দল নিয়ন্ত্রিত পার্লামেন্টের ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্ট নিজের হাতে তুলে নেওয়ার ঘোষণার পর সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। পরে ওই রায় পরিবর্তন হলেও সংঘর্ষ থামানো যায়নি।

রাজনৈতিক সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন নিহত হয়েছেন। অপরদিকে, শুক্রবার কারাকাসে লুট করার সময় ১১ জন নিহত হন বলে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে।

বিরোধী নেতারা অভিযোগ করছেন, সরকার ‘সশস্ত্র লুটেরাদের’ পাঠাচ্ছে তাদের সম্পদ লুট করার জন্য। বিরোধী নেতা কার্লোস ইয়েনেজ এ অবস্থাকে ‘যুদ্ধের মতো’ বলে উল্লেখ করেছেন।

বিরোধী দলের নেতারা মাদুরোকে ‘স্বৈরশাসক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। অপরদিকে মাদুরো বলছেন, বিরোধীরা শক্তি প্রয়োগ করে তার সরকারের পতন ঘটাতে চাইছে। চলমান বিক্ষোভের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের হাত আছে বলেও উল্লেখ করেছেন মাদুরো।

ভিডিও ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তা বাহিনীর দিকে মলোটোভ ককটেল বা পেট্রল বোমা নিক্ষেপ করছেন।

দীর্ঘদিন ধরে চলমান অর্থনৈতিক সংকটের জেরে প্রেসিডেন্ট মাদুরোর বিরুদ্ধে গত তিন সপ্তাহ ধরে এই বিক্ষোভ চলছে। ২০১৪ সালের পর সবচেয়ে বড় সরকারবিরোধী বিক্ষোভ এটি।

/এসএ/