কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে হত্যার কথা স্বীকার মার্কিন পুলিশের

Jordan Edwardsযুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যে ১৫  বছরের এক কৃষ্ণাঙ্গ কিশোরকে গুলি করে হত্যার কথা স্বীকার করেছে পুলিশ। ওই হত্যাকাণ্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সমালোচনার মুখে এ স্বীকারোক্তি দেয় পুলিশ। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, একজন পুলিশ কর্মকর্তা একটি পার্টি থেকে বের হয়ে ওই কিশোরকে গুলি করে হত্যা করেন। অথচ এই ফুটেজ প্রকাশিত হওয়ার আগে এ বিষয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে যে দাবি করা হয়েছিল; তার সঙ্গে ভিডিওটির কোনও মিল নেই।

টেক্সাসের বালস স্পিংস-এর পুলিশ প্রধান জোনাথন হাবের। সোমবার তিনি বলেন, শনিবার রাতে ডালাসের উপকণ্ঠের এক শহরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে কিছুটা দূরত্বে গাড়ি চালিয়ে যাচ্ছিলেন জর্ডান অ্যাডওয়ার্ডস নামের ওই কিশোর। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করা হবে না।

পুলিশ প্রধান জোনাথন হাবের-এর এ দাবি একদিন আগেই দেওয়া পুলিশের বক্তব্য থেকে আলাদা। তখন পুলিশ তার বিরুদ্ধে আক্রমণাত্মক আচরণের অভিযোগ তুলেছিল।

নিহত জর্ডান অ্যাডওয়ার্ডস নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে একজন ভালো শিক্ষার্থী হিসেবে পরিচিত ছিলেন। এছাড়া একজন ফুটবলার হিসেবেও তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল।

যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গদের প্রাণহানির ঘটনা নতুন নয়। ২০১৪ সালের ৯ আগস্ট মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের সেন্ট লুইস কাউন্টির ফারগুসন শহরে মাইকেল ব্রাউন (১৮) নামের এক কৃষ্ণাঙ্গ তরুণ শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে নিহত হয়। এ ঘটনায় টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ছড়িয়ে পড়া অস্থিরতা মোকাবিলায় পুলিশকে বেগ পেতে হয়।

পুলিশের অতিরিক্ত ক্ষমতার ব্যবহার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বিতর্ক রয়েছে। বিশেষ করে কৃষ্ণাঙ্গদের ওপর শক্তিপ্রয়োগ নিয়ে দেশটিতে ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে। গত তিন বছরে পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ নিহত হওয়ার ঘটনায় বিভিন্ন সময়েই বিক্ষোভ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের কৃষ্ণাঙ্গ জনগোষ্ঠী। মার্কিন পুলিশের বর্ণবাদ প্রবণতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে শুরু হয় ব্ল্যাক লাইভস ম্যাটার আন্দোলন। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/