২০১৬ সালের শেষ দিকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে খালিদ মিশআল-এর মেয়াদ শেষ হয়। শুক্রবারের বৈঠকে তাকে দলের পরামর্শক পরিষদের প্রধান করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নতুন নেতা ইসমাইল হানিয়ার জন্ম গাজা উপত্যকার আল-শাতি উদ্বাস্তু শিবিরে। ১৯৪৮ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের সময় তার মা-বাবা বর্তমান ইসরায়েলের বাড়ি ছেড়ে উদ্বাস্তু হন। জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে পড়াশোনার পর গাজা ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আরবি সাহিত্যে স্নাতক সম্পন্ন করেন ইসমাইল হানিয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালে তিনি হামাসে যোগ দেন।
২০০৬ সালের ২৫ জানুয়ারি ফিলিস্তিনের সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয় হামাস। ২৯ মার্চ দেশটির প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ইসমাইল হানিয়া।
উল্লেখ্য, আরববিশ্বে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধের সম্মিলিত কণ্ঠস্বর স্পষ্ট হয় ১৯৮৭ সালে। ইন্তিফাদা নামের সেই সময় শুরু হওয়া গণ-আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় পরের বছর হামাসের আত্মপ্রকাশ। ধর্মভিত্তিক সংগঠনের পরিচয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের সহযোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে দলটির।
হামাসের প্রাথমিক ঘোষণাপত্র ছিল ইহুদিবিদ্বেষে ঠাঁসা। তবে দলটি ফিলিস্তিনিদের জাতিরাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষা জোরালো করে তুলতে শুরু করার পর সেই পরিস্থিতির সমান্তরালে বদলে যেতে থাকে হামাস। এক পর্যায়ে ফিলিস্তিনি মুক্তির সংগ্রামই হয়ে ওঠে তাদের প্রধান অঙ্গীকার।
১ মে ২০১৭ সোমবার নতুন রাজনৈতিক দলিল প্রকাশ করে হামাস। এতে দলের অবস্থানগত কিছু পরিবর্তনের ঘোষণা দেওয়া হয়। এর অন্যতম হচ্ছে, ১৯৬৭ সালের সীমানা মেনে নিয়ে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের ঘোষণা দিয়েছে হামাস। সূত্র: আল জাজিরা।
/এমপি/