ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস নিয়ে জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার

ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস নিয়ে দেশজুড়ে জারি করা জরুরি অবস্থা প্রত্যাহার করা হয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত দেশটিতে জিকা ভাইরাসে সংক্রমণের হার প্রায় ৯৫ শতাংশ কমেছে। এ সময়ের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৯১১ জন। আগের বছরের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৫৩৫। কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

২০১৫ সালের মে মাসে ব্রাজিলে জিকা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি উদ্বেগজনক পর্যায়ে পৌঁছালে ওই বছরের নভেম্বরে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালের নভেম্বরে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জিকা ভাইরাস নিয়ে আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা তুলে নেয়। তবে এতদিন ব্রাজিলে সরকারিভাবে এটি বহাল ছিল।

আমেরিকা মহাদেশে জিকা ভাইরাসের সংক্রমণ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরই মূলত জরুরি অবস্থা জারি করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় নয় মাস পর সেই আন্তর্জাতিক জরুরি অবস্থা উঠিয়ে নেওয়ার ঘোষণা হয়। ওই সময়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মুখপাত্র ড্যানিয়েল ইপস্টেইন বলছেন, ‘এখনও অন্তত ৭৫টি দেশে এটি আবারও মহামারী আকারে ছড়িয়ে পরতে পারে- যদি না সেখানে মশা নিধনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’

এডিস প্রজাতির মশা থেকে জিকা ভাইরাস মানুষের দেহে ছড়িয়ে থাকে। জ্বর, জয়েন্ট পেইনসহ ছোটখাটো কিছু শারীরিক অসুস্থতা দেখা দেয় এ ভাইরাসের কারণে। আবার তা এক সপ্তাহের কম সময়ের মধ্যে সেরেও যায়। তবে বিপত্তি তৈরি হয় গর্ভবতী নারীদের ক্ষেত্রে। গর্ভাবস্থায় জিকা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মাইক্রোফেলাসি তথা বিকৃত ও ছোট মাথা নিয়ে জন্ম নিতে পারে শিশু। এসব শিশুর বুদ্ধিমত্তার ঘাটতি থাকে, শারীরিক বৃদ্ধি কম হয় এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

জিকা ভাইরাস সর্বপ্রথম ১৯৪৭ সালে উগান্ডায় রেসাস ম্যাকাক নামের বানরের দেহে পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ১৯৫২ সালে উগান্ডা ও তানজানিয়াতে মানবদেহে প্রথমবারের মতো ভাইরাসটি শনাক্ত করা হয়। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।

/এমপি/