‘যেকোনও সময় যেকোনও স্থানে’ আবারও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা: উ. কোরিয়া

ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষারবিবারের ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ধারাবাহিকতায় এবার উ. কোরিয়া হুমকি দিয়েছে, যেকোনও সময়,  যেকোনও স্থানে আবারও একই ধরনের পরীক্ষা চালাতে পারে তারা। উত্তর কোরিয়ার কেসিএনএ সংবাদ সংস্থাকে উদ্ধৃত করে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদন সাপেক্ষে এমন হামলা চালাতে তৈরি আছে দেশটি।
নিজেদের উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রটিকে সম্পূর্ণ নতুন ধরনের বলে দাবি করেছে উত্তর কোরিয়া। দেশটির নেতা কিম জং উনের নির্দেশে এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করা হয়। এর মাধ্যমে তারা ‘বড় ধরনের পারমাণবিক হামলা'র সক্ষমতা পরীক্ষা করেছে বলে দাবি করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সোমবার উত্তর কোরিয়া জানায়, তারা নতুন ধরণের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সক্ষমতা যাচাইয়ে এই পরীক্ষা চালান। তারা দেখতে চেয়েছে যে বড় ধরণের পারমাণবিক হামলায় ক্ষেপণাস্ত্রটি সক্ষম কিনা।
এরপর চীনে নিয়োজিত উ. কোরীয় রাষ্ট্রদূত ঝি জোয়াও রিয়ংকে উদ্ধৃত করে কেসিএনএ জানায়, ধারাবাহিকভাবে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাতে চায় উত্তর কোরিয়া।  ঝি জোয়াও কেএনএসএ-কে জানিয়েছেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতৃত্ব চাইলে যেকোনও সময়, যেকোনও স্থানে আন্তমহাদেশীয় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানো হবে।’
মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী নিউ ইয়র্কে উ. কোরীয় ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার ব্যাপারে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর একদিন আগে আবারও স্থান-কালের ঊর্ধ্বে উঠে ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার হুমকি দিল উত্তর কোরিয়া।
রবিবারের উৎক্ষেপিত ক্ষেপণাস্ত্রটি ৭০০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ক্ষেপণাস্ত্রটি জাপান সাগরে পতিত হয়। এই ঘটনায় কোরীয় উপদ্বীপ অঞ্চলে চলমান উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে ।

চলতি বছর বেশ কয়েকটি মিসাইল পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ সহ আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা ও তোপের মুখে পড়েছে দেশটি। তারপরও নিজেদের পরীক্ষা থামায়নি তারা। গত মাসে তাদের দুটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা ব্যর্থ হয়। ধারণা করা হয় তাদের কাছে দুটি আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে।  মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদও জরুরি বৈঠক ডেকেছে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপান।

এদিকে কিম জং উন অভিযোগ করেছেন,  যাদের কাছে পারমাণবিক অস্ত্র নেই তাদের সঙ্গে ‘খারাপ আচরণ’ করে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বার্তা সংস্থা কেসিএনএ জানায়, কিম ওয়াশিংটনকে হুশিয়ারি করে দিয়েছে যে তারা যেন ভুল করে উত্তর কোরীয় সীমান্তে চলে না আসে।

/বিএ/